বিয়ের পরই স্ত্রীর দাড়ি-গোঁফ, স্বামী জানতে পেরে যা করলেন – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনা পাঞ্জাবের এক দম্পতির। শারীরিক গড়ন ও চেহারা দেখে মানুষকে বিচার করার প্রবণতা আমাদের সমাজে পুরোনো। এই মানসিকতার শিকার হলেন পাঞ্জাবের মান্দীপ কৌর। সাধারণ চেহারার মান্দীপের বিয়ে হয়েছিল আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। প্রথম কয়েক বছর তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটছিল। কিন্তু এই সুখ স্থায়ী হলো না।
হঠাৎ মান্দীপের মুখের কিছু অংশে পুরুষের মতো দাড়ি-গোঁফ গজাতে শুরু করে। চিকিৎসকদের মতে, এই শারীরিক পরিবর্তনের কারণ হরমোনের তারতম্য। শারীরিক এই পরিবর্তন দেখে মান্দীপের স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দেন। স্বামীর এমন আচরণে মান্দীপ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং চরম হতাশায় ভোগেন।
এই ঘটনার পর তিনি গুরুদ্বারে যেতে শুরু করেন। সেখানে তিনি নিজের শরীরকে তার স্বাভাবিক রূপে মেনে নেওয়ার অনুপ্রেরণা পান। এরপর তিনি মুখের লোম পরিষ্কার করা ছেড়ে দেন এবং শিখদের মতো পাগড়ি পরা শুরু করেন। মান্দীপ এখন বাইকে যাতায়াত করেন এবং তাঁর শারীরিক বৈশিষ্ট্যকেই নিজের স্টাইল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
বর্তমানে মান্দীপ তাঁর নতুন লুকে দারুণ খুশি। তাঁকে দেখে কোনো নারীই চিনতে পারেন না, যদি না তিনি কথা বলেন। তিনি নিজের ভাইদের সঙ্গে চাষের কাজেও হাত লাগান এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জীবনযাপন করছেন। মান্দীপের মতো ইংল্যান্ডের হরনাম কৌরও মুখের লোম পরিষ্কার করা ছেড়ে দিয়েছেন এবং দাড়ি-গোঁফ নিয়েই তিনি এখন স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।