তিন শক্তির আধার! কেন এই মন্দিরে গেলে শূন্য হাতে ফেরে না কেউ? – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায় অবস্থিত মা বিন্ধ্যবাসিনীর মন্দির এক পবিত্র স্থান, যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে কোনো ভক্তই খালি হাতে ফেরে না। গঙ্গার তীরে অবস্থিত এই মন্দিরটি তন্ত্র-মন্ত্র এবং দেবীর সাধনার জন্য বিখ্যাত।
নির্বাচনে জয় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনে সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনা— সবকিছুর জন্যই মানুষ এই মন্দিরে এসে প্রার্থনা করেন। বিশেষ করে নবরাত্রির সময় এখানে ভক্তদের বিপুল সমাগম হয়। বিন্ধ্য পর্বতের এই মহাশক্তিপীঠে দেবীর তিন রূপের দর্শন পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই, এই শক্তি-ত্রিকোণের তাৎপর্য।
তন্ত্র-সাধকদের মিলনক্ষেত্র
হিন্দু ধর্মমতে, অন্যান্য শক্তিপীঠগুলিতে দেবীর শরীরের বিভিন্ন অংশ পতিত হয়েছিল, কিন্তু বিন্ধ্যাচলে মা বিন্ধ্যবাসিনী তাঁর পূর্ণ শরীরের সঙ্গে বিরাজমান। এটি দশমহাবিদ্যার কেন্দ্রস্থল, যেখানে ভক্তরা একইসঙ্গে মহাকালী, মহালক্ষ্মী ও মহাসরস্বতীর আশীর্বাদ লাভ করেন। আসামের কামাখ্যার মতোই এই স্থানটি তন্ত্র সাধনার জন্য অত্যন্ত শুভ এবং ফলদায়ী বলে গণ্য হয়।
বিশ্বাস করা হয়, পৃথিবীতে এটিই একমাত্র স্থান, যেখানে তিন শক্তি একত্রে তাঁদের ভক্তদের কল্যাণ করেন এবং তাঁদের সমস্ত মনোস্কামনা পূরণ করেন। তন্ত্র-মন্ত্র সাধনার কেন্দ্র হওয়ায় প্রতি বছর নবরাত্রির সময় এখানে অসংখ্য অঘোরী ও তন্ত্র সাধকের সমাগম ঘটে।
নগ্নপদে ত্রিভুজাকার পরিক্রমা
শক্তির এই ত্রিভুজে একদিকে যেমন মা বিন্ধ্যবাসিনীর ধাম, অন্যদিকে দক্ষিণ দিকে মা কালী এবং তৃতীয় দিকে মা অষ্টভুজা দেবী সরস্বতী রূপে বিরাজমান। এই জাগ্রত শক্তিপীঠে করা কোনো সাধনা বা আরাধনাই বৃথা যায় না। দেবী তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ করেন। এই কারণেই এখানে সারা বছর কোনো না কোনো বড় পূজা বা অনু্ষ্ঠান চলে।
অনেক ভক্ত মনস্কামনা পূরণের জন্য খালি পায়ে এই শক্তি-ত্রিকোণের পরিক্রমা করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, মায়ের প্রতি এই ভক্তি তাঁদের ইতিবাচক শক্তি প্রদান করে এবং তাঁদের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে।