রাতভর বৃষ্টির তাণ্ডব, শহরে জল থৈ থৈ! বন্ধ ট্রেন-মেট্রো, হঠাৎ কী হলো? – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
রাতভর নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা ও শহরতলির জনজীবন। শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জলমগ্ন, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে রেল ও মেট্রো পরিষেবায়। শিালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনের একাধিক লাইনে জল জমে যাওয়ায় কার্যত থমকে গিয়েছে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল। অন্যদিকে, মেট্রো লাইনে জল ঢুকে যাওয়ায় পরিষেবা আংশিকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
টানা বৃষ্টির কারণে শিালদহ স্টেশনের কাছে রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। লাইনে জল থাকায় চক্ররেলের আপ ও ডাউন লাইন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই চিত্র শিালদহ দক্ষিণ শাখাতেও। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই শাখার সমস্ত ট্রেন পরিষেবাও।
শুধু তাই নয়, হাওড়া ইয়ার্ড, শিালদহ দক্ষিণ ইয়ার্ড, চিৎপুর উত্তর কেবিন-সহ একাধিক কারশেড জলমগ্ন। এই মুহূর্তে পাম্প করে জল বের করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। রেললাইনে জল জমে থাকার কারণে শিালদহ থেকে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনের মধ্যে রয়েছে আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস এবং শিালদহ-জঙ্গিপুর এক্সপ্রেস। পরিস্থিতি সামলাতে বেশ কিছু লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
শিালদহের কাছে লাইনে জল জমার কারণে শিয়ালদহ মেন, বনগাঁ এবং হাসনাবাদ লাইনের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। বনগাঁ থেকে শিালদহগামী কিছু ট্রেন দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাতায়াত করছে। অন্যদিকে, মেন লাইনের ট্রেনগুলিও দমদম স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই আটকে যাচ্ছে।
তেমনই ভারী বৃষ্টির জেরে হাওড়াতেও লাইনে জল জমেছে। পাম্প করে জল বের করার চেষ্টা চলছে। তবে তার প্রভাব পড়েছে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া-গয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া-জামালপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উপর। বিঘ্নিত হয়েছে এই ট্রেনগুলির পরিষেবাও। এছাড়াও, ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস, গণদেবতা এবং রাঁচিগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তারকেশ্বর ও বর্ধমান মেন লাইনে ট্রেন পরিষেবাও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
অন্যদিকে, রাতভর বৃষ্টির ধাক্কা সামলাতে পারেনি কলকাতা মেট্রো। মহানায়ক উত্তম কুমার এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনের মাঝখানে জল জমে যাওয়ায় মেট্রো পরিষেবা আংশিকভাবে বন্ধ। আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই আকস্মিক দুর্যোগে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা।