মা-ছেলের জোড়া রহস্যমৃত্যু, ফ্ল্যাটে ঢুকতেই পুলিশের চোখ কপালে! কী ঘটেছিল বাঁশদ্রোণীর সেই বাড়িতে? – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
কলকাতা: একদিকে যখন শহর জুড়ে বৃষ্টির তোড়, তখন উত্তর কলকাতার এক বাড়িতে মা ও ছেলের জোড়া পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাঁশদ্রোণীর নর্দার্ন পার্কে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁদের দেহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছিল।
জানা যায়, আজ দুপুর আড়াইটা নাগাদ কুনাল দাস নামে এক ব্যক্তি বাঁশদ্রোণী থানায় যান। তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর আত্মীয়া শীলা দাসগুপ্তের ফ্ল্যাটের দরজা কয়েক দিন ধরে বন্ধ। ভেতরে পচা গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে। শীলা দাসগুপ্ত তাঁর ছেলে সুতীর্থ দাসগুপ্তকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ঠিকানা বি-৩/২৬, নর্দার্ন পার্ক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বহু ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। ভেতরের দৃশ্য দেখে কার্যত চমকে ওঠে পুলিশ। শোবার ঘরে পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মা শীলা দাসগুপ্ত (৬৯) এবং ছেলে সুতীর্থ দাসগুপ্তের (৩৮) মৃতদেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে ঢোকা বা বেরোনোর অন্য কোনো রাস্তা ছিল না। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দাসগুপ্ত পরিবার মূলত ওড়িশার পুরীর বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে পুরীর বাড়ি বিক্রি করে তাঁরা কলকাতায় চলে আসেন। স্থানীয়দের দাবি, শেষবার তাঁদের প্রায় তিন-চার দিন আগে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই ফ্ল্যাটটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সুতীর্থ দাসগুপ্ত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন। শীলা দেবী সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে ব্রেন সার্জারি করিয়েছিলেন। দু’জনেই নিয়মিত ঢাকুরিয়ার এএমআরআই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতেন। ফ্ল্যাট থেকে আলপ্রক্স (০.৫ মি.গ্রা) ওষুধের খালি স্ট্রিপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তবে কীভাবে দুজনের একসঙ্গে এমন মৃত্যু হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ঘটনাটি আত্মহত্যা না কি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং প্রতিবেশীরাও এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।