সেনাবাহিনীকে ব্যাট করতে দাও.., ভারতের পরাজয়ের পর পাকিস্তানের নেতৃত্বকে আক্রমণ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান কারাগার থেকেও খবরের শিরোনামে। এবার তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট ব্যর্থতাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ করলেন।

ভারতের কাছে এশিয়া কাপে পরপর দুটি হারের পর ইমরান খান পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপহাস করে বলেন, শুধু তারাই হয়তো দলের ভাগ্য ফেরাতে পারেন।

তার বোন আলিমা খানের বরাতে জানা গেছে, ইমরান খান মজার ছলে বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে জিততে হলে সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনির ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামা উচিত। তার বিদ্রূপ এখানেই থামেনি, সাবেক প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে আম্পায়ার এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগারকে থার্ড আম্পায়ার হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তবে এই ব্যঙ্গের আড়ালে লুকিয়ে ছিল গভীর সমালোচনা। নাকভিকে ‘অযোগ্যতা’ ও ‘স্বজনপ্রীতির’ মাধ্যমে পাকিস্তান ক্রিকেটকে ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেন ইমরান। শুধু খেলা নয়, তার আক্রমণের লক্ষ্য ছিল আরও বিস্তৃত। তিনি জেনারেল মুনিরের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইসা ও কমিশনার রাজার সমর্থনে কারচুপির অভিযোগ পুনরায় তোলেন। এটি তার দীর্ঘদিনের অভিযোগ।

এশিয়া কাপে দশ দিনের মধ্যে ভারতের কাছে দুবার হারের পরই ইমরানের এই মন্তব্য আসে, যা পাকিস্তানের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দুর্বলতা প্রকাশ করে। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো ইমরান তার চ্যাম্পিয়নশিপ ঐতিহ্যের সঙ্গে বর্তমান দলের পতনের তুলনা করেন। তিনি বোঝাতে চান, মাঠের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই নেতৃত্বই ফলাফল নির্ধারণ করে।

এদিকে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারণাটি উড়িয়ে দেন। তার মতে, টি২০তে ভারতের ১২-৩ ব্যবধানে জয়ী হওয়ার রেকর্ডই প্রমাণ করে যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক আগেই ভারসাম্য হারিয়েছে।

ইমরান খানের কাছে ক্রিকেটের পিচ ছিল কেবল আরেকটি মঞ্চ। এটি ছিল তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপহাস করার, ক্ষমতাশালীদের বিদ্রূপ করার এবং জনগণের কাছে পাকিস্তানের ক্রীড়া জগতের পতন ও জাতীয় আলোচনায় তার নিজের দীর্ঘস্থায়ী কণ্ঠস্বরকে মনে করিয়ে দেওয়ার একটি রূপক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *