ট্রাম্পের নতুন নীতিতে মার্কিন ভিসা আবেদন তলানিতে, কেন বলছেন শশী থারুর ‘চিন্তার কিছু নেই’? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ অভিবাসন নীতির জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি পড়ুয়াদের আগমন চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩,১৩,০০০-এর সামান্য বেশি। এটি টানা পঞ্চম মাসের পতন।

করোনা মহামারির পর থেকে আগস্ট মাসে এত কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আর প্রবেশ করেনি। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে মোট শিক্ষার্থী আগমন কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যালোচনা, বিদেশি কর্মীদের জন্য H-1B ভিসায় নতুন বিধিনিষেধ এবং ১ লাখ ডলার আবেদন ফি। ভারতীয় এবং চীনা নাগরিকরাই এই H-1B ভিসার প্রধান অংশ।

এশিয়ান শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই পতন সবচেয়ে বেশি। শুধু ভারত থেকেই শিক্ষার্থী আগমন কমেছে ৪৫ শতাংশ, যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এছাড়া চীন থেকে কমেছে ১২ শতাংশ। জাপান থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত ১৩টি প্রধান এশীয় দেশের শিক্ষার্থীদের আগমন কমেছে।

শশী থারুরের পর্যবেক্ষণ

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এই পরিস্থিতিতে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। দ্য ওয়্যারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্টুডেন্ট ভিসার ওপর ট্রাম্পের কড়াকড়ি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বড় ধাক্কা নয়’। তাঁর মতে, নতুন H-1B ভিসার নিয়ম চালু হলে অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরে আসতে হবে অথবা অন্য দেশে যেতে হবে।

তিনি বলেন, “আমেরিকা নিজেরাই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিভাকে বঞ্চিত করছে, কিন্তু এতে কোনো সমস্যা নেই, কারণ অন্য দেশগুলো তাদের স্বাগত জানাচ্ছে।”

থারুর আরও জানান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, এমনকি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলো ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে। তাই যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাদের জন্য বিকল্পের অভাব নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *