-60 ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্লেনের চাকা চেপে এক কিশোরের যাত্রা! এরপর যা ঘটল, শুনলে চমকে যাবেন – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
বিমান ভ্রমণের স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু আফগানিস্তানের এক কিশোর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য এমন এক দুঃসাহসিক কাজ করে বসল যা শুনে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের চোখ কপালে উঠেছে। সম্প্রতি, ১৩ বছরের এক আফগান কিশোর কোনো টিকিট বা ভিসা ছাড়াই কাবুলের একটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি নামার পর একজন বিমানকর্মী কিশোরটিকে দেখতে পান এবং দ্রুত সিআইএসএফকে খবর দেন। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ছেলেটি জানায়, শুধুমাত্র কৌতূহলের বশে সে এই ঝুঁকি নিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি ছোট লাল স্পিকারও উদ্ধার করা হয়েছে।
সুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখার পর কিশোরটিকে সেদিনই আবার কাবুলে ফেরত পাঠানো হয়। তবে এই ঘটনা ১৯৯৬ সালের এক ভয়ঙ্কর ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। সেবার পাঞ্জাবের দুই ভাই—প্রদীপ সাইনি ও বিজয় সাইনি—লন্ডনে যাওয়ার জন্য দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি প্লেনের চাকায় লুকিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। এই বিপজ্জনক যাত্রায় ৩৫,০০০ ফুট উচ্চতায় তাপমাত্রা নেমে যায় -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং অক্সিজেনের অভাব ছিল তীব্র।
১০ ঘণ্টার সেই যাত্রায় বিজয় সাইনি বিমান থেকে নিচে পড়ে মারা যান। অন্যদিকে, ১০ ঘণ্টা ধরে অমানুষিক কষ্ট সহ্য করার পর প্রদীপ সাইনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হন। চিকিৎসকরা জানান, তীব্র হাইপোথার্মিয়া এবং অক্সিজেনের অভাব সত্ত্বেও তার বেঁচে থাকাটা ছিল অলৌকিক। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তিনি ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি পান এবং সেখানেই স্থায়ী হন।
২০১৫ সালেও এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। কার্লিটো ভেল এবং তার বন্ধু থেম্বা কবেকা জোহানেসবার্গ থেকে লন্ডনগামী একটি বিমানের চাকায় লুকিয়েছিলেন। এই যাত্রায় ভেল নিচে পড়ে মারা যান, কিন্তু কবেকা মারাত্মকভাবে আহত হয়েও বেঁচে যান। এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে পরে ‘দ্য ম্যান হু ফেল ফ্রম দ্য স্কাই’ নামে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করা হয়।