কালো চিতা রহস্য! দার্জিলিংয়ের জঙ্গলে ধরা পড়ল বিরল প্রাণীর গতিবিধি – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
ফের দেখা মিলল কালো চিতাবাঘের। মানেভঞ্জন-সুখিয়াপোখরি রোডের পর এবার দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং বন বিভাগের ডাউহিলে ক্যামেরাবন্দি হলো বিরল এই প্রাণীটি। সোমবার বিকেলে এক ব্যক্তির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। এরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই এলাকায় বনকর্মীদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বন দপ্তরের কার্শিয়াংয়ের রেঞ্জার সংবর্ত সাধু জানান, ভাইরাল হওয়া ছবিটি সত্য। তিনি বলেন, “আমাদের এখানে কয়েকটি ম্যালানিস্টিক লেপার্ড আছে। হরিণও রয়েছে। সম্ভবত সন্ধ্যার আগে হরিণ শিকারের খোঁজে চিতাবাঘটি ঘুরে বেড়াচ্ছিল।” সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গলে হরিণের সংখ্যা বাড়ায় এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বন দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, এই প্রাণীটি সাধারণত ঘন জঙ্গলে থাকে না, বরং লোকালয়ের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। অনেকেই এটিকে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ভেবে ভুল করেন, কিন্তু এটি আসলে জিনগত কারণে মেলানিন বেড়ে যাওয়া একটি সাধারণ চিতাবাঘ। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চল এই প্রাণীদের স্বাভাবিক আবাসস্থল হওয়ায় এখানে এদের দেখা মেলা অস্বাভাবিক নয়।
এর আগেও একাধিকবার দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় কালো চিতার দেখা মিলেছে। চলতি বছরের জুন মাসে মানেভঞ্জন-সুখিয়াপোখরি রোডে এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে শৈল শহরের চিত্রে বাজারের কাছেও এই প্রাণীর দেখা মেলে। এরপর নভেম্বর মাসে মিরিকে এবং ২০২০ সালে মিরিকের ওকাইতি চা বাগানেও কালো চিতা দেখা যায়। সেই বছরই মানেভঞ্জন ও ধোত্রে-শিলিগুড়ি রোড থেকে দুটি মৃত কালো চিতার দেহ উদ্ধার হয়। এ ছাড়া কার্শিয়াং থেকে চিমনি যাওয়ার পথে এক গাড়িচালকও কালো চিতার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেন।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, পাহাড়ে কালো চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়েছে। এদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে, স্থানীয় গ্রামবাসী ও হোম স্টে মালিকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।