মরণফাঁদ কলকাতা! ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ৮ জনের মৃত্যু, জমা জলে কী ঘটেছিল? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

বৃষ্টির বিপর্যয়ে প্রাণ গেল আট জনের। মাত্র ছয় ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই আট ব্যক্তির। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ব্যক্তিকেও ধরলে মৃতের সংখ্যা নয়। মঙ্গলবার সকালেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মৃত ও আহতদের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে।

সকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ মিন্টো পার্কের একটি হোটেলে ইনভার্টার চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন পবন গোস্বামী নামের এক নিরাপত্তারক্ষী। ৩৪ বছর বয়সী পবনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

একবালপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৬০ বছর বয়সী জিতেন্দ্র সিংহ। ভোর ৫টার দিকে তাঁকে জলমগ্ন রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, একটি ভেজা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তিনি তড়িদাহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ফিরোজ় আলি খানকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

গড়ফা থানার কালিকাপুরে একই সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান রামগোপাল পণ্ডিত। তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। নেতাজি নগরের ৬২ বছর বয়সী প্রাণতোষ কুন্ডুকেও জলমগ্ন রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।

বেহালা থানা এলাকার একটি রাস্তায় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতের নাম সুনীল সূর্য, বয়স ৩৫। তিনি বিহারের নওদা জেলার বাসিন্দা।

ঠাকুরপুকুরের ২৫ বছর বয়সী শুভ প্রামাণিককে হরিদেবপুর থেকে উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। গড়িয়াহাটের বালিগঞ্জ প্লেস এলাকাতেও সন্দীপ গুহঠাকুরতা নামের এক ব্যক্তিকে দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শাসনের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী মিরাজ শেখও একই কারণে মারা গিয়েছেন। একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন ৭০ বছরের মমতাজ বিবি।

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, এই দুর্ঘটনার দায় সিইএসসিকেই নিতে হবে এবং তাদের দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা উচিত। তিনি আরও বলেন, সিইএসসি কলকাতায় আধুনিকীকরণের কাজ করছে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *