গা ছমছমে রহস্য কনকদুর্গার মন্দিরে, স্বয়ং দেবী রাঁধেন ভক্তদের ভোগ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে, ঘন অরণ্য ও ডুলুং নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে চিল্কিগড়ের প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো কনকদুর্গা মন্দির। এটি কেবল একটি প্রাচীন শক্তিপীঠ নয়, বরং এক রহস্যের খনি। এখানে প্রচলিত আছে হাজারো অলৌকিক কাহিনি— স্থানীয়দের দৃঢ় বিশ্বাস, মহাষ্টমীর রাতে ভোগ রান্না করেন স্বয়ং মা দুর্গা। নতুন মাটির হাঁড়িতে বলির মাংস রেখে শালপাতা দিয়ে মুখ বন্ধ করে তালা দেওয়া হয়, পরে দেখা যায় অলৌকিকভাবে রান্না সম্পূর্ণ।
এই দেবী একসময় নরবলি গ্রহণ করতেন বলে শোনা যায়, যা এখন বন্ধ। অশ্বারোহিণী রূপে চতুর্ভূজা এই দেবী একসময় সোনার মূর্তিতে পূজিত হতেন, তাই তার নাম ‘কনক দুর্গা’। চুরি যাওয়ার পর এখন অষ্টধাতুর মূর্তিতেই পূজা হয়। বিজয়া দশমীতে দেবীকে পান্তাভাত ও মাছ পোড়া ভোগ দেওয়া হয়। এই রহস্যময় আচার আর প্রাচীন অরণ্যের আবহই আজও এই মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে।