বাংলাদেশের দুর্গোৎসবে কি এবার কোনো বিপদ নেই? ২ লাখ বাহিনী নামল আজ থেকে! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
দেবীপক্ষের সূচনা হতেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এ বছর সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় পুরোদমে চলছে মণ্ডপ সাজানোর কাজ। তবে বিগত বছরগুলোর কথা মাথায় রেখে এবার আগেভাগেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইউনুস প্রশাসন। দুর্গাপূজা চলাকালীন যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আজ, অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর থেকেই মাঠে নামছে ২ লাখের বেশি আনসার-ভিডিপি সদস্য।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৯ দিন দেশের ৩১ হাজার ৫৭৬টি পুজো মণ্ডপে মোতায়েন থাকবেন এই সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপগুলোকে ঝুঁকির ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে ৮ জন, গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে ৬ জন এবং সাধারণ মণ্ডপে ৬ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া, ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিমও টহল দেবে এবং যেকোনো আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি এবং ঢাকা মহানগরীতে ২৫২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বছর মণ্ডপের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ হাজার ৩৫৫-তে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। পূজার সময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস দেশের বাইরে থাকলেও, তিনি নিউ ইয়র্কে যাওয়ার আগে রামকৃষ্ণ মিশন ও ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে পূজোর সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে গিয়েছেন যে প্রশাসন তাঁদের পাশে থাকবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, এ বছর দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে। তবে এর মধ্যেও নাগরিক সমাজকে নিয়ে গঠিত নতুন মঞ্চ ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ দেশের ২৯টি জেলাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ঢাকা, রংপুর, যশোর, চাঁদপুর এবং নোয়াখালী জেলাকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।