নির্বাচন কমিশনের নীরবতা! রাহুল গান্ধীর অভিযোগের কী তাহলে ভিত্তি ছিল? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগকে শুরুতে ভিত্তিহীন বলেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সম্প্রতি কমিশনের নেওয়া একটি পদক্ষেপকে ঘিরে ফের জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি রাহুলের অভিযোগের কোনো ভিত্তি ছিল? কমিশনের এই নীরবতার রহস্যই বা কী?
গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা থেকে অনলাইন জালিয়াতির মাধ্যমে বহু ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে নির্বাচন কমিশন অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলা, নাম বাদ দেওয়া ও সংশোধনের জন্য এক নতুন নিয়ম চালু করেছে। এর ফলে আবেদনকারীর ই-সিগনেচার বাধ্যতামূলক হয়েছে।
কমিশনের ই-নেট পোর্টাল ও অ্যাপে যুক্ত হতে গেলে এবার থেকে আবেদনকারীকে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। এরপর আধার কার্ডে দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি কোড আসবে, সেটি প্রবেশ করালে তবেই অনলাইন ব্যবস্থাটি সচল হবে। এর ফলে কমিশনের সার্ভারে সেই তথ্য জমা থাকবে। ঠিক কী কারণে কেউ অনলাইন ব্যবস্থায় প্রবেশ করছেন, তা কমিশন জানতে পারবে।
আশ্চর্যজনকভাবে, এত বড় একটি পরিবর্তন আনা হলেও নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সরকারি ঘোষণা করেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এতে রাহুলের অভিযোগকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে, এই বার্তা যাতে না যায়, সেজন্যই কমিশন নীরবতা পালন করছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রাহুল কর্নাটকের একটি বিধানসভার ভোটার তালিকা তুলে ধরে দেখিয়েছিলেন কীভাবে একটি মাত্র মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনেক ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একে তিনি ‘ভোট চুরি’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি কোথাও ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে আবার কোথাও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়ে জয় হাসিল করছে এবং এই জালিয়াতি সম্পর্কে কমিশনের অজানা থাকার কথা নয়।