আইআইটি খড়্গপুরে একের পর এক আত্মহত্যা, নেপথ্যে আসল কারণ কী? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
চলতি বছরে আইআইটি খড়্গপুরে একের পর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ১০ জন নতুন কাউন্সেলর নিয়োগ করেছে কর্তৃপক্ষ, যাঁরা মূলত ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করবেন।
এই কাউন্সেলরদের মূল কাজ হবে ক্যাম্পাসের ছাত্র ও গবেষকদের সঙ্গে মিশে তাঁদের মানসিক চাপ বা অবসাদের কারণ খুঁজে বের করা। আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী জানান, আগে কাউন্সেলর থাকলেও এবার পেশাদারদের একটি বড় দল নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা ক্লাসরুম, খেলার জায়গা বা হোস্টেলের বিভিন্ন অংশে ঘুরে পড়ুয়াদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবেন এবং তাঁদের সমস্যার কথা শুনবেন।
ডাইরেক্টরের মতে, কোনো শিক্ষার্থীর মনে কী চলছে, তা বাইরে থেকে বোঝা কঠিন। তাই আলোচনার মাধ্যমেই তাদের মনের খবর নেওয়া হবে। নতুন এই কাউন্সেলররা দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মানসিক অবস্থা যাচাই করবেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর হর্ষকুমার পাণ্ডে নামে এক পিএইচডি গবেষকের ঝুলন্ত দেহ হোস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়ার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। চলতি বছরে এই নিয়ে পাঁচবার এমন ঘটনা ঘটল আইআইটি খড়্গপুরে।
সুমন চক্রবর্তী বলেন, “আজকের প্রজন্মের একটি বড় অংশ পরীক্ষা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছে। এর ফলে তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।” তবে তিনি এও মনে করিয়ে দেন, অনেক সময় অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে পড়ুয়ারা নিজের সমস্যার কথা জানাতে পারেন না। তাই কাউন্সেলরদের দল এমন শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে সাহায্য করার চেষ্টা করবে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হোস্টেলের প্রতিটি ঘরে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া আছে। এছাড়াও ‘সেতু’ মোবাইল অ্যাপ ও ‘বোর্ড অফ হোপ’-এর মতো উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।