৩৪০ কোটির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল অ্যামাজন, আসল ঘটনাটা কী? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের দায়ে ৩৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ছিল। এবার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল অ্যামাজন। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজের আর্জি জানিয়েছিল সংস্থাটি, যা বুধবার বাতিল করে দিল শীর্ষ আদালত। ফলে আপাতত বহাল থাকছে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশই। তবে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মূল মামলার শুনানিতে কোনও বাধা থাকবে না বলেও জানিয়েছে আদালত।

ঠিক কী ঘটেছে?

বিবাদ শুরু হয় ২০২০ সালে। সেই সময় ব্রিটিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড লাইফস্টাইল ইক্যুইটিজ একটি মামলা দায়ের করে। তাদের অভিযোগ ছিল, অ্যামাজনের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘সিম্বল’-এর লোগোটি তাদের বেভারলি হিলস পোলো ক্লাব (BHPC)-এর ট্রেডমার্কের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। লাইফস্টাইলের দায়ের করা মামলায় অ্যামাজন টেকনোলজিস এবং অ্যামাজনের একটি সহযোগী সংস্থা ক্লাউডটেল ইন্ডিয়াকেও যুক্ত করা হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালের অক্টোবরে দিল্লি হাইকোর্ট এই ধরনের লোগো ব্যবহার বন্ধ করার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করে।

জানা যায়, ক্লাউডটেল এই বিষয়ে তাদের দায় স্বীকার করে। তারা জানায়, এই ধরনের জিনিস বিক্রি করে তারা প্রায় ২৪ লাখ টাকা আয় করেছে। যদিও অ্যামাজন টেকনোলজিস তখন আদালতের শুনানিতে হাজির হয়নি। তাই তাদের বিরুদ্ধে একতরফা রায় দেওয়া হয়।

আদালতের রায়

এরপর দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে অ্যামাজনকে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করা হয়। আদালত জানায়, অ্যামাজন এবং ক্লাউডটেলের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এই কারণেই অ্যামাজন প্ল্যাটফর্মে বেআইনি পণ্য বিক্রির জন্য অ্যামাজন দায়ী।

এই রায়ের পরই অ্যামাজনকে ৩৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ব্র্যান্ড পুনরুদ্ধারের জন্য ৪১.৫ কোটি টাকা এবং লাইসেন্সিং ও মামলার খরচ বাবদ ২৯২.৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, অ্যামাজনের কাছে সমন ঠিকভাবে পৌঁছায়নি। এছাড়াও মূল মামলায় মাত্র ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। তাই এত বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি যুক্তিসঙ্গত নয়। এরপরই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় লাইফস্টাইল ইক্যুইটিজ। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে আপাতত বহাল থাকছে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *