পুজোর সময় ডাক্তার পাবেন না! উৎসবের আগে কেন সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা? জানুন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বাঙালি। এই সময়টায় শহর থেকে গ্রাম, হাসপাতাল থেকে পাড়ার ওষুধের দোকান—সবকিছুতেই একটু অন্যরকম ছন্দ। ডাক্তারবাবুরাও পুজোর ক’টা দিন ছুটি কাটান। কিন্তু হঠাৎ করে যদি বাড়ির কারও শরীর খারাপ হয়, তখন কী করবেন? সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে পেটে ব্যথা, মাইগ্রেন বা অ্যালার্জির মতো ছোটখাটো সমস্যাতেও দিশেহারা হয়ে পড়েন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বিপদের মুখে পড়তে না চাইলে পুজোর আগেই কিছু আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখা জরুরি।

বাড়িতে রোগী থাকলে

বাড়িতে যদি নিয়মিত চিকিৎসাধীন কোনও রোগী থাকেন, তাহলে পুজোর আগেই তাঁর ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সব ওষুধ আগেভাগে কিনে রাখুন, যাতে পুজোর মধ্যে ওষুধের খোঁজে দৌড়ঝাঁপ করতে না হয়।

জরুরি ওষুধের তালিকা

হালকা জ্বর, সর্দি, কাশি, পেট খারাপ বা অম্বলের মতো সাধারণ রোগের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ বাড়িতে মজুত রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। দাঁতের বা অন্য কোনও ব্যথার জন্য পেইনকিলারও রাখতে পারেন। যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তারা আগে থেকেই ওষুধ গুছিয়ে রাখুন। কারণ পুজোর সময় চারপাশের অতিরিক্ত আলো আর শব্দে মাইগ্রেন অ্যাটাক বেড়ে যেতে পারে।

অন্যান্য সতর্কতা

অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তার প্রয়োজনীয় ওষুধ হাতে রাখুন। পোড়া বা আঘাতজনিত ক্ষতের জন্য মলম এবং রক্ত বন্ধ করার ওষুধও রাখা যেতে পারে। বাড়িতে ডায়াবেটিস রোগী থাকলে, গ্লুকোজ বা চকলেট অবশ্যই রাখুন। হঠাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়ার মতো সমস্যায় এগুলি কাজে দেবে। এছাড়া শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য অক্সিমিটার এবং ইনহেলার সব সময় হাতের কাছে রাখবেন।

জরুরি পরিষেবার নম্বর

কোনও বড় সমস্যা দেখা দিলে কী করবেন? সময় নষ্ট না করে কাছের সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। তার আগে কিছু জরুরি নম্বর মোবাইলে সেভ করে রাখুন—যেমন ব্লাড ব্যাংক, নার্সিং হোম বা অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার নম্বর। যদি নিজের গাড়ি না থাকে, তাহলে আশেপাশে কোনও গাড়ি ভাড়া দেওয়ার জায়গার নম্বরও সংগ্রহ করে রাখুন, যাতে রাতে বা প্রয়োজনের সময় গাড়ি পেতে সমস্যা না হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *