গবেষকরা বলছেন এই ৭টি উপায়ে বাড়াতে পারেন আপনার যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

যমজ সন্তান কার না পছন্দ! তাদের একসাথে বেড়ে ওঠা, খেলাধুলা, আর একজোড়া হাসিতে যেন বাড়ির আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। অনেকেই চান তাদের পরিবারে এই দ্বিগুণ আনন্দ আসুক। কিন্তু যমজ সন্তান হওয়া শুধু ভাগ্যের ব্যাপার নয়, এর পেছনে রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিক কারণ। বংশগত ইতিহাস, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা এবং মায়ের শরীরের গঠন—এইসবই যমজ সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি এই সম্ভাবনা বাড়াতে পারেন।

আসলে যমজ সন্তান দু’ভাবে জন্ম নেয়—’আইডেন্টিক্যাল’ এবং ‘ফ্র্যাটারনাল’। যখন একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু ভেঙে দুটি আলাদা ভ্রূণে পরিণত হয়, তখন আইডেন্টিক্যাল টুইন জন্মায়। আর যখন দুটি আলাদা শুক্রাণু দুটি ভিন্ন ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন ফ্র্যাটারনাল টুইন হয়। আইডেন্টিক্যাল টুইন হওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে ফ্র্যাটারনাল টুইন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানো সম্ভব।

১. কিছু নির্দিষ্ট সেক্স পজিশন

মিশনারি, রিয়ার এন্ট্রি এবং সিজারিং পজিশন—এই তিনটি পজিশনে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায় বলে মনে করা হয়। কারণ এই পজিশনগুলো ওভিউলেশনের সময় গভীর অনুপ্রবেশ নিশ্চিত করে, যা যমজ সন্তান ধারণের সহায়ক হতে পারে।

২. কিছু ভেষজ উপাদান

কিছু ভেষজ উপাদান যেমন ‘মাকা রুট’ এবং ‘ইভনিং প্রিমরোজ অয়েল’ মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো প্রজনন টিস্যুতে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ানো এবং ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করার মাধ্যমে যমজ সন্তান ধারণের সম্ভাবনা তৈরি করে।

৩. সাপ্লিমেন্ট

ফলিক অ্যাসিড ও মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ফলিক অ্যাসিড খুবই জরুরি। নিয়মিত এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে যমজ সন্তান ধারণের পথ প্রশস্ত হতে পারে।

৪. খাদ্যাভ্যাস

গবেষকদের মতে, দুগ্ধজাত পণ্য, সয়াবিন এবং মাছের মতো খাবার খেলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কারণ যমজ সন্তান ধারণের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি ও ভিটামিন প্রয়োজন, যা এই খাবারগুলো থেকে পাওয়া যায়। যদিও শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেই যমজ সন্তান হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

৫. ওজন এবং উচ্চতা

কিছু গবেষণা অনুসারে, স্বাভাবিক ওজনের মহিলাদের চেয়ে অতিরিক্ত ওজন (বিএমআই ৩০-এর বেশি) ও ৫ ফুট ৪.৮ ইঞ্চি বা তার বেশি লম্বা মহিলাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর কারণ হিসেবে ধরা হয়, বেশি ওজন মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায়, যা দুটি ডিম্বাণু নির্গত করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থার আগে অতিরিক্ত ওজন থাকা গর্ভধারণে জটিলতা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘকায় মহিলাদের ক্ষেত্রে যমজ সন্তান হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি কম থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *