জাপানের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সানে টাকিচি! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
জাপানের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেত্রী সানে টাকিচি মঙ্গলবার নিম্নকক্ষের ভোটে জয়লাভ করে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম করলেন।
জানা গেছে, ৪৬৫ আসন বিশিষ্ট নিম্নকক্ষে টাকিচি মোট ২৩৭টি ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন।
৬৪ বছর বয়সী সানে টাকিচি উচ্চকক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর এবং সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই দেশের ১০৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি গত মাসে নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের পর শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নারীর রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা একটি দেশের জন্য এই অর্জনকে ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে টাকিচিকে মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কাজ হবে মন্ত্রিসভা গঠন করা, যা সম্ভবত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়াও, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য জাপান সফর-সহ একাধিক কূটনৈতিক ইভেন্টে তাঁকে অংশ নিতে হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টাকিচি সম্ভবত সাতসুকি কাতায়ামাকে জাপানের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসাবেও নিয়োগ করতে পারেন। কাতায়ামা ছিলেন সেই ২০ জন নেত্রীর মধ্যে একজন, যাঁরা চলতি মাসের শুরুতে এলডিপির নেতা হওয়ার জন্য টাকিচির প্রার্থীপদকে সমর্থন করেছিলেন।
টাকিচির শীর্ষ পদে আরোহণ ঐতিহাসিক হলেও, তাঁর অতি-রক্ষণশীল মতাদর্শ পরিবর্তনকামী অংশের অগ্রগতিতে বাধা দিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, তিনি রাজপরিবারে শুধুমাত্র পুরুষ উত্তরাধিকারের সমর্থক, সমকামী বিবাহ এবং বিবাহিত দম্পতিদের আলাদা উপাধি রাখার অনুমতিরও বিরোধী।