এই জনপ্রিয় মসলাগুলোতেই লুকিয়ে আছে ক্যান্সারের বীজ! আপনি কি রোজ তা খাচ্ছেন? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় মশলার দুটি বড় সংস্থার কয়েকটি পণ্য নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার দেশের অভ্যন্তরেই ৫টি কো ম্পা নির ৭টি মশলার নমুনা ‘খাবার অযোগ্য’ বা ‘আনসেফ’ বলে চিহ্নিত হয়েছে। রাজস্থান সরকারের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে। এই মশলাগুলিতে সহনশীল মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ক্ষতিকারক কীটনাশক ও রাসায়নিকের উপস্থিতি মিলেছে, যা দীর্ঘদিন সেবন করলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।
কোন কোন ব্র্যান্ডের মশলা অনিরাপদ
রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে মোট ৯৩টি মশলার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। টীকা আকারে বলা হয়েছে, তার মধ্যে এমডিএইচ, এভারেস্ট, গজানন্দ, শ্যাম এবং শীবা তাজা—এই পাঁচটি জনপ্রিয় ভারতীয় কো ম্পা নির মশলার নমুনা ‘খাবার অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এমডিএইচ-এর গরম মশলায় অ্যাসিটামিপ্রিড, থায়ামেথোক্সাম ও ইমিডাক্লোপ্রিড এবং সবজি মশলা ও ছোলার মশলায় ট্রাইসাইক্লাজোল ও প্রোফেনোফস-এর মাত্রা অতিরিক্ত পাওয়া গিয়েছে। এভারেস্টের জিরা মশলা, শ্যামের গরম মশলা, গজানন্দের আচার মশলা এবং শীবা তাজার রায়তা মশলার নমুনায়ও অ্যাসিটামিপ্রিড, থায়ামেথোক্সাম, ইথিওন এবং এজোক্সিস্ট্রোবিন-এর মতো কীটনাশক মিলেছে।
কীটনাশকের ঝুঁকি ও ক্যানসারের আশঙ্কা
বিশেষজ্ঞদের মতে, থায়ামেথোক্সাম (Thiamethoxam) নামের কীটনাশকটি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে প্রবেশ করলে তা মস্তিষ্ক, যকৃৎ এবং মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া, বেশ কয়েকটি কীটনাশকের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলে গবেষণায় প্রমাণিত। ইথিলিন অক্সাইড (Ethylene oxide) ছাড়াও এই ধরনের অন্যান্য রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহার মানবদেহের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ইন্ডিয়ান ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।