ছট পূজার মাঝে পিরিয়ড এলে কি উপোস ভাঙতে হয়? এই কঠিন ব্রতের অদ্ভুত নিয়ম জানলে চমকে যাবেন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

২৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ছট পূজা। এটি ভারতের সবচেয়ে কঠিন, পবিত্র এবং বৃহত্তম উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম, যার প্রস্তুতি শুরু হয় কালীপূজা শেষ হওয়ার পরই। এই চার দিনের উৎসব কেবল ধর্মীয় নয়, বৈজ্ঞানিক ও আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি ৩৬ ঘণ্টার নির্জলা উপবাস, যা বিশ্বাস, পবিত্রতা ও মাতৃত্বের প্রতীক।

কিন্তু এই কঠিন ব্রত পালনের সময় যদি কোনো মহিলার হঠাৎ পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হয়ে যায়, তখন কী করা উচিত? এই পরিস্থিতিতে কি উপোস মাঝপথে ভেঙে দিতে হয়, নাকি ব্রত জারি রাখা যায়? ছট পূজার সময় পিরিয়ড সংক্রান্ত নিয়ম ও লোকবিশ্বাসগুলি জেনে নিন।

পিরিয়ড চলাকালীন ছট ব্রতের নিয়ম

শাস্ত্র এবং প্রচলিত লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, ছট পূজা শুরুর আগে বা শুরু হওয়ার সময় যদি পিরিয়ড শুরু হয়, তবে সেই মহিলা উপবাস (ব্রত) রাখতে পারেন। তবে তিনি সরাসরি পুজোর আচার-অনুষ্ঠান বা স্পর্শের কাজ করতে পারবেন না।

যদি কোনো মহিলা একবার ব্রত শুরু করে দেন, তবে পিরিয়ড শুরু হলেও সেই উপোস মাঝপথে ভেঙে দেওয়া যায় না। কঠিন এই উপবাস তাঁকে জারি রাখতে হবে। তবে পূজার আচার-অনুষ্ঠান পালনে তাঁর কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়।

পিরিয়ডে কি অর্ঘ্য নিবেদন করা যায়?

ছট ব্রতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো অস্তগামী ও উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা। লোকমান্যতা অনুসারে, পিরিয়ড চলাকালীন কোনো নারী সরাসরি সূর্যকে অর্ঘ্য দিতে পারবেন না।

তবে এই পরিস্থিতিতে ব্রতধারী মহিলার পরিবর্তে পরিবারের অন্য কোনো সদস্য সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। অর্ঘ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে অবশ্য সাত্ত্বিক জীবনধারা মেনে চলতে হবে এবং কঠোর পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।

জলে দাঁড়িয়ে পূজা করা যায়?

যদিও পিরিয়ড চলাকালীন অর্ঘ্য দেওয়া সম্ভব নয়, তবুও মহিলারা জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে সূর্য মন্ত্র জপ করতে পারেন এবং মনে মনে ছট মাইয়ার পূজা করতে পারেন। অর্থাৎ, ঘাট বা পবিত্র জলে নেমে ব্রত পালনে কোনো বাধা নেই বলে মনে করা হয়।

স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের বিধিনিষেধ

কিছু অঞ্চলে ছট পূজার সময় পিরিয়ড সংক্রান্ত একটি অদ্ভুত নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, পিরিয়ড চলাকালীন মহিলারা উপবাস রাখলেও তাদের স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। শুনতে অস্বাভাবিক লাগলেও, পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে ব্রত চলাকালীন এই নিয়ম মানার কথা বলা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *