পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবন, আসছে দ্বিতীয় সন্তান! অথচ মায়ের বয়স মাত্র ১৭? ডাক্তারের এক প্রশ্নেই ফাঁস হলো গোপন সত্য – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
আপাতদৃষ্টিতে পাঁচ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবন। পরিবারে এক সন্তানের কলরব, আর এবার দ্বিতীয় সন্তানের আগমনী বার্তা। মহারাষ্ট্রের শিয়্যে এলাকার এক দম্পতির জীবনে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই তাদের সেই সাজানো জীবনে নেমে এলো আইনের কঠোর থাবা।
আসলে, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে যখন স্বামী হাসপাতালে পৌঁছান, তখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় ডাক্তার ওই তরুণীর বয়স জিজ্ঞাসা করেন। নিরক্ষরতার কারণে মেয়েটি তার সঠিক বয়স জানাতে পারেননি। এতে সন্দেহ হওয়ায় ডাক্তার যখন তাদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন, তখন এক চমকে দেওয়ার মতো সত্যি সামনে আসে।
পাঁচ বছর ধরে বিবাহিত এবং দ্বিতীয়বার মা হতে চলা এই তরুণীর আসল বয়স মাত্র ১৭ বছর। নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও তার পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবন এবং এক সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পেরেই ডাক্তার দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও সমাজকল্যাণ বিভাগকে খবর দেন। নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা ‘POCSO’ আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ হওয়ায় পুলিশকে ব্যবস্থা নিতেই হয়।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, যে স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন স্ত্রী, সেই স্বামীর বিরুদ্ধেই তাকে অভিযোগ দায়ের করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়। একদিকে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা, অন্যদিকে গর্ভে থাকা সন্তান এবং সামনে কঠোর আইন—এই দোলাচলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েন ওই তরুণী।
চিকিৎসকদের মতে, কম বয়সের কারণে মা ও সন্তানের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছে। কীভাবে পাঁচ বছর ধরে এই সত্য লুকিয়ে ছিল, এবং কেনই বা নাবালিকার বিয়ে হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।