তুমি আমার স্ত্রীর মতো! প্রধান শিক্ষক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর প্রেমে পড়েন এবং প্রেমপত্রে লেখেন, “আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই” – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) দীর্ঘ দিন ধরে হয়রানি করছিলেন এবং তাকে জোর করে ‘নিকাহের’ প্রস্তাবও দেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম শकील আহমেদ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক শकील আহমেদ ওই নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন এবং তাকে ‘নিকাহ’ করার জন্য চাপ দিতেন। এমনকি, তিনি একটি প্রেমপত্রও দেন ছাত্রীটিকে, যেখানে লেখা ছিল ‘আমি তোমায় খুব ভালোবাসি এবং তোমার সঙ্গে নিকাহ করতে চাই। তুমি আমার স্ত্রীর মতো।’
ছাত্রীটি প্রধান শিক্ষকের এই ধরনের আচরণে ভীত হয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকিও পান। অভিযুক্ত শিক্ষক হুমকি দেন, সে যদি কারও কাছে মুখ খোলে, তবে তাকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে। ভয়ে মেয়েটি চুপ করে থাকলেও তার অস্বাভাবিক আচরণ নজরে আসে মায়ের।
মা বিষয়টি জানতে চাইলে মেয়েটি কেঁদে ফেলে এবং প্রধান শিক্ষকের সমস্ত কুকীর্তি ফাঁস করে দেয়। সে জানায়, শकील আহমেদ তাকে খারাপ উদ্দেশ্যে স্পর্শ করতেন এবং আপত্তি জানালে তাকে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখাতেন।
ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক অনেক দিন ধরেই তাঁর মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করে চলেছিলেন। তিনি মেয়েকে বলেন, “তুমি আমার স্ত্রীর মতো লাগো, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।”
এরপর ছাত্রীটির মা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসক (DM) এবং সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SSP)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আধিকারিকেরা দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
তদন্ত শুরু হওয়ার পর পকসো (POCSO) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শकील আহমেদকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, বেসিক শিক্ষা আধিকারিক (Basic Education Officer) রাকেশ কুমার অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন এবং তাঁর চাকরি থেকে সম্পূর্ণভাবে অপসারণের প্রক্রিয়া চলছে।