বিনা সাক্ষাতেই অন্তঃসত্ত্বা! আলাদা জেলে থেকেও যেভাবে সন্তানের জন্ম দিলেন দুই বন্দী, জানলে চমকে যাবেন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: কারাগারের কঠোর নিরাপত্তা এবং পৃথক কোঠুরির বেড়াজালের মধ্যেও এক অত্যন্ত অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। ফ্লোরিডার দুই বন্দী, যারা কখনও একে অপরের মুখোমুখি হননি, তারা জন্ম দিয়েছেন এক সন্তানের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মিয়ামি-ডেড সংশোধন ও পুনর্বাসন বিভাগ (Miami-Dade Corrections and Rehabilitation Department) ফ্লোরিডার টার্নার গিলফোর্ড নাইট সংশোধন কেন্দ্রে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। কী করে ঘটলো এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা?

জানা গেছে, ২৯ বছর বয়সী ডেইজি লিংক অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরই বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। গত বছর ১৯ জুন লিঙ্ক জ্যাকসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে শিশুটি ‘মিরাকল বেবি’ নামে পরিচিত এবং লিঙ্ক-এর পরিবারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, খুনের আলাদা অভিযোগে অভিযুক্ত এই দুই বন্দী, ২৩ বছর বয়সী জোন ডেপাজ এবং ডেইজি লিঙ্ক কীভাবে সন্তানের জন্ম দিলেন?

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ডেপাজ এবং লিঙ্ক কখনও সামনাসামনি দেখা করেননি। তাদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল জেলের ভেন্টিলেশন সিস্টেমের মাধ্যমে। তারা তাদের সেলকে সংযোগকারী ভেন্টের মাধ্যমে নোট এবং ছবি আদান-প্রদান করতে শুরু করেন, যা ধীরে ধীরে একটি রোম্যান্টিক সম্পর্কে পরিণত হয়। লিঙ্ক জানিয়েছেন, দীর্ঘকাল একা থাকার কারণে তারা একে অপরের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন।

এই ঘনিষ্ঠতা আরও গভীর হয় যখন ডেপাজ একটি পরিবার গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ডেপাজ বলেছিলেন, “আমি সবসময় একটি সন্তান চেয়েছিলাম এবং আমি তা বেশ কিছুদিন করতে পারব না। তাই যদি আমাকে কাউকে বেছে নিতে হতো, তবে তা লিঙ্কই হতেন।” লিঙ্কও এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। এরপরই তাদের ‘অলৌকিক’ উপায়ে সন্তান ধারণের ঘটনা সামনে আসে। বর্তমানে দুই মা-বাবাই তাদের নিজ নিজ মামলার বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন।

এই অস্বাভাবিক ঘটনা শুধু কর্তৃপক্ষকেই নয়, স্থানীয়দের মনেও গভীর কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, শারীরিক মিলন ছাড়াই কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা হলেন এই নারী?

এই ঘটনায় জেলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং বন্দীদের কার্যকলাপ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের ফল কী হয়, সেদিকেই নজর সকলের।

যদি আপনি এই ঘটনাটির তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আরও কোনো খবর জানতে চান, আমি সেই তথ্য খুঁজে দিতে পারি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *