এবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রথমবার ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

নদীয়ার কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে যে এক অলিখিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে, এবার তাতে নতুন মোড়। এবারই প্রথমবার ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভার্চুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে একযোগে চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ এই প্রথম যুক্ত হওয়া কেন? শহরজুড়ে এখন এই প্রশ্ন নিয়েই চলছে জোর আলোচনা ও উৎসবের আমেজ।

সূত্রের খবর, আগামী ২৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর এই ভার্চুয়াল কর্মসূচি নির্ধারিত হয়েছে। নবান্ন থেকে সরাসরি সংযোগ রাখা হবে কৃষ্ণনগরের দুটি প্রধান পুজোর সঙ্গে—চাষাপাড়া বারোয়ারির ২৫৩ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বুড়িমা পুজো এবং পাত্রবাজার স্বীকৃতি ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজো।

এই ঘটনাকে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছেন অনেকেই। পুজো উদ্যোক্তাদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ভার্চুয়াল উপস্থিতি শহরের জন্য এক বিশাল সম্মান। চাষাপাড়া বারোয়ারির সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানান, তাঁরা কখনও কাউকে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করাননি, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি থাকছেন জেনে ভালো লাগছে। স্বীকৃতি ক্লাবের সদস্য সৌমাল্য ঘোষ এটিকে গর্ব ও আনন্দের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন।

জানা যাচ্ছে, এতদিন মুখ্যমন্ত্রী চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করলেও সেই তালিকা থেকে বাদ ছিল রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার কৃষ্ণনগরের মূল উৎসবে প্রথমবার তিনি যুক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের উদ্দীপনা তুঙ্গে।

কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো বরাবরই কলকাতা-কেন্দ্রিক দুর্গাপুজোর জাঁকজমক থেকে ভিন্ন। দুর্গাপুজোয় শহরের ছবি কিছুটা ম্লান থাকলেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুরো শহর আলোকসজ্জা ও মণ্ডপে মুড়ে উৎসবনগরী হয়ে ওঠে।

মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব ও বারোয়ারির সঙ্গে বৈঠক চলছে। ওই দিন পুজো মণ্ডপে বড়পর্দায় ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। নির্বিঘ্নে সম্প্রচারের জন্য নেটওয়ার্ক সংযোগ, ক্যামেরা ও সাউন্ড সিস্টেমের পরীক্ষা চলছে। নদীয়ার জেলাশাসক অনীশ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতির জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কৃষ্ণনগর লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র এটিকে শহরের কাছে ‘বড় পাওনা’ বলে অভিহিত করেছেন।

কয়েক বছর ধরে কৃষ্ণনগর শহরের দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীই করে আসছিলেন। এবার সেই পরম্পরায় জগদ্ধাত্রী পুজো যুক্ত হওয়ায় শহরে উৎসবের জৌলুস ও নজরদারি বেড়েছে বহুগুণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *