সাইকেলে রিফ্লেক্টর না লাগালেই চরম বিপদ? ঝাড়গ্রামে কেন এই জরুরি সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন, জানুন আসল কারণ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ঝাড়গ্রাম: জেলার ঝাঁ চকচকে নতুন রাস্তায় তীব্র গতির বাইক ও গাড়ির দাপট বাড়ায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল পড়ুয়াদের সুরক্ষাই এখন প্রশাসনের প্রধান মাথাব্যথা। বিশেষ করে সবুজ সাথী সাইকেল ব্যবহারকারী ছাত্রছাত্রীদের পথনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা শিক্ষা দপ্তর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে।
কী সেই জরুরি নির্দেশ?
জেলা শিক্ষা দপ্তর এক নির্দেশিকায় প্রতিটি স্কুলে সবুজ সাথী সাইকেলে রিফ্লেক্টর লাগানো বাধ্যতামূলক করেছে। শুধু তাই নয়, পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত পথসুরক্ষার বিষয়টিও স্কুল কর্তৃপক্ষকে হাতেকলমে পড়ুয়াদের বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই) শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গ্রামীণ এলাকার ছাত্রছাত্রীরা সাইকেলে স্কুলে আসে। দ্রুত গতির যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাই প্রতিটি সবুজ সাথী সাইকেলে রিফ্লেক্টর লাগাতে হবে। পাশাপাশি, স্কুলগুলিতে পথসুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জানা যাচ্ছে, জাতীয় ও রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারের পর মসৃণ রাস্তা ধরে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা অনেক বেড়েছে। পরিবহণ দপ্তর একাধিক জায়গায় স্পিড লিমিট ও স্পিডব্রেকার বসালেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
এই সমস্যার কথা জানিয়ে জেলা পরিষদের তরফেও প্রশাসন ও পরিবহণ দপ্তরের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এরপর প্রশাসনিক বৈঠকে পরিবহণ দপ্তর সবুজ সাথী সাইকেলে রিফ্লেক্টর লাগানোর অনুমোদন দিলে, শিক্ষা দপ্তর এই নির্দেশিকা জারি করে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারাণ্ডি জানান, গ্রামীণ এলাকার ছেলেমেয়েরা সাইকেলে যাতায়াত করে। সন্ধ্যায় টিউশন সেরে ফেরার সময় অন্ধকারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার একাধিক ঘটনা নজরে আসার পরই প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজকুমার মাইতি এবং চন্দ্রী চন্দ্রশেখর হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক তারক মণ্ডল শিক্ষাদপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের পথসুরক্ষায় এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।