শব্দবাজি বন্ধ করতে বলায় যুবককে বেধড়ক মার! বাঁচাতে এসে মার খেলেন কাকাও – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

কালীপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা থেকে দেদার শব্দবাজি, বিশেষ করে চকোলেট বোমা ফাটানো হচ্ছিল। সেই শব্দ-তাণ্ডব বন্ধ করতে অনুরোধ করতেই এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। ভাইপোকে বাঁচাতে আসা তাঁর কাকা এবং দোকানের এক কর্মীকেও মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার রাতে বরানগরের এ কে মুখার্জি রোডে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় বিশ্বজিৎ দত্ত ও সানি দে নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

কী ঘটেছিল?

নোয়াপাড়া এন সি দাস রোডের একটি ক্লাবের কালীপ্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা এ কে মুখার্জি রোড ধরে গঙ্গার ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ক্লাব কর্মকর্তা ও সদস্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে আতশবাজি ও চকোলেট বোমা ফাটাতে শুরু করে। শব্দবাজির আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পাশের বাড়ির বাসিন্দা অভিরূপ সাহা বাড়ি থেকে বেরিয়ে শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এরপরেই ক্লাব সদস্যরা তাঁর ওপর চড়াও হয়। অভিরূপকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

অভিরূপের কাকার ফার্স্টফুডের দোকান কাছেই ছিল। ভাইপোকে মার খেতে দেখে তিনি বাঁচাতে ছুটে আসেন। তাঁর সঙ্গে দোকানের এক কর্মীও আসেন। তাঁদের দু’জনকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, ওই যুবকের বাড়িতে ঢুকেও হামলা চালানোর চেষ্টা হয় বলে অভিরূপের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।

অভিরূপ সাহা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় চকোলেট বোমা ফাটানো বন্ধ করতে বলার কারণেই তাঁর ওপর হামলা হয়। তিনি চান পুলিশ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিক।

অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শাসক দলের ছত্রছায়া থাকায় ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে এমন বেপরোয়া মনোভাব তৈরি হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার তথা বরানগর পুরসভার সিআইসি সদস্য অঞ্জন পাল এই ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ ও ‘কাম্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে অভিযুক্ত ক্লাবকর্তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি, কারণ দিনভর তাঁদের মোবাইল ফোন ‘সুইচড অফ’ ছিল।

গ্রেফতার হওয়া দুজনকে শনিবারই আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে অভিরূপের পরিবার এবং স্থানীয় মানুষ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *