চেক বাউন্স নিয়ে তোলপাড়! RBI-এর ৭টি নতুন নিয়ম, না জানলে বিপদ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ডিজিটাল লেনদেনের যুগেও চেক-এর গুরুত্ব আজও অমলিন। বাড়ি ভাড়া, বড় ব্যবসায়িক লেনদেন বা ঋণ পরিশোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এখনো চেককেই ভরসা করেন অনেকে। তবে এই লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো চেক বাউন্স। এই সমস্যায় গ্রাহকদের বিপুল আর্থিক ও মানসিক চাপ পোহাতে হয়।
এবার সেই সমস্যা সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বিশ্বাস অটুট রাখতে আরবিআই একগুচ্ছ নতুন ও কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে, যা জানলে চমকে যাবেন!
জানুন সেই ৭টি জরুরি নিয়ম
১. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘বাউন্স অ্যালার্ট’ বাধ্যতামূলক
নতুন নির্দেশ অনুসারে, কোনো চেক বাউন্স হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহককে এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে সেই খবর জানানো বাধ্যতামূলক। এর ফলে গ্রাহক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন এবং বড় ক্ষতি এড়াতে পারবেন।
২. ‘ইচ্ছাকৃত বাউন্স’-এর সাজা দ্বিগুণ
আরবিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, যদি কেউ জানबूझ করে ভুল বা জাল চেক ইস্যু করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা ১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২ বছর করা হয়েছে। পাশাপাশি, আরোপ করা হবে ভারী জরিমানা।
৩. বারবার ভুল হলে চেক বুক বাতিল
যে গ্রাহকরা বারবার চেক বাউন্স করান, তাঁদের চেক বুক সুবিধা ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিতে পারে। তখন এমন গ্রাহকদের শুধুমাত্র ডিজিটাল বা অনলাইন মাধ্যমে লেনদেন করার অনুমতি দেওয়া হবে। সৎ গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতেই আরবিআই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
৪. ৫ লাখের বেশি চেকে Positive Pay System
এখন থেকে ৫ লক্ষ টাকার বেশি অঙ্কের চেকের জন্য পজিটিভ পে সিস্টেম (Positive Pay System) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়মে চেক ইস্যু করার আগেই গ্রাহককে তারিখ, টাকার অঙ্ক এবং প্রাপকের নাম ব্যাঙ্ককে জানাতে হবে। এতে চেকে কারচুপি ও জালিয়াতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
৫. ৬ মাসে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য
চেক বাউন্স সংক্রান্ত অভিযোগগুলি এখন থেকে সরাসরি আরবিআই-এর অনলাইন পোর্টালে দায়ের করা যাবে। নিয়ামক সংস্থাটির লক্ষ্য হলো, এই ধরনের মামলাগুলির সমাধান ছয় মাসের মধ্যে শেষ করা, যাতে দ্রুত বিচার ও স্বস্তি মেলে।
৬. ব্যাঙ্কের ভুলে গ্রাহকের মুক্তি
যদি অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কের ভুল বা কারিগরি সমস্যার কারণে চেক বাউন্স হয়, তবে গ্রাহককে কোনো জরিমানা দিতে হবে না। এই নিয়মটি সেই গ্রাহকদের জন্য বড় স্বস্তি, যাঁরা সময়মতো পেমেন্ট করতে প্রস্তুত থাকলেও ব্যাঙ্কিং ত্রুটির শিকার হন।
৭. ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত
আরবিআই-এর এই কঠোর পদক্ষেপগুলির অন্যতম লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের মধ্যে ডিজিটাল এবং অনলাইন পেমেন্টের অভ্যাসকে আরও উৎসাহিত করা, যাতে চেক বাউন্সের মতো সমস্যা কমিয়ে আনা যায় এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হয়।
এই নতুন নিয়মগুলি কেবল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকেই আরও মজবুত করবে না, বরং গ্রাহকদের হয়রানিও কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমি আপনার জন্য এটি একটি পেশাদার সংবাদ প্রতিবেদন হিসাবে পুনর্লিখন করেছি। আপনি যদি এই সংক্রান্ত অন্য কোনো খসড়া প্রতিবেদন সম্পাদনা করতে চান, তবে আমাকে জানাতে পারেন।