১৪ বছরেই সন্তানের জন্ম! প্রেমিকের বয়সও ১৬, ঝাড়খণ্ডের ঘটনায় তোলপাড় – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ঝাড়খণ্ড থেকে উঠে এল এক চঞ্চল্যকর ঘটনা, যেখানে মাত্র ১৪ বছর বয়সে এক নাবালিকা জন্ম দিয়েছে সন্তানের। এই ঘটনা সামনে আসতেই শুধু স্থানীয় গ্রামবাসী নয়, পুরো সমাজকেই যেন নাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবিশ্বাস্য ঘটনা জানতে পেরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে খবর দেয় পুলিশকে। জানা গেছে, নাবালিকার প্রেমিক তথা সন্তানের বাবার বয়সও মাত্র ১৬ বছর। তার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আসলে কী ঘটেছে?
ঘটনার সূত্রপাত ঝাড়খণ্ডের ছত্তরপুর এলাকার একটি গ্রামে। নৌডিহা বাজার থানা এলাকার ওই নাবালিকা ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী গাড়োয়া জেলার পিথোরিয়া গ্রামের ১৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই অল্প বয়সের আবেগে তারা কখন যে ভুল করে বসেছে, তা দু’জনের কেউই বুঝে উঠতে পারেনি। তাদের ঘনিষ্ঠতা গড়ায় গর্ভধারণে, কিন্তু এই নাবালিকা বা তার পরিবারের কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা। সব কিছুই স্বাভাবিক চলছিল।
পেট ব্যথাতেই ফাঁস হলো গোপন কথা!
গত বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ ওই নাবালিকার পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। তার পরিবার দ্রুত তাকে ছত্তরপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তার আধার কার্ড দেখে আসল বয়স জানতে পারেন। এরপর স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমেই ওই ১৪ বছরের কিশোরী এক সুস্থ সন্তানের জন্ম দেয়। নাবালিকার পরিস্থিতি এবং কম বয়স দেখেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ছত্তরপুর মহিলা থানায় খবর দেয়।
পুলিশের তৎপরতা
খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ছত্তরপুর মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাড়োয়া জেলার পিথোরিয়া গ্রামের ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই পুরো ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে। অল্প বয়সে মা হওয়ার এই ঘটনা শিশু সুরক্ষা এবং সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।