বিয়ে করেই চরম বিপদে নববধূ! বাসর রাতেই স্বামীর আসল পরিচয় ফাঁস, তারপর যা ঘটল… – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
পবিত্রতম সম্পর্কের শুরুতেই বড় ধাক্কা। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করলেন এক নববধূ। তাঁর অভিযোগ, বাসর রাতে তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী ‘নপুংসক’। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয় মানসিক অত্যাচার, যার শেষ পরিণতি হয় যৌন হেনস্তা এবং শারীরিক নির্যাতন। কী ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর মার্চ মাসে বাঙ্গারমাউয়ের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় রাওতপুর এলাকার ওই মহিলার। অভিযোগ, বাসর রাতেই স্বামী সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারেন স্ত্রী। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর স্বামী নপুংসক (Impotent)। এই ঘটনা জানার পর ওই গৃহবধূর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
পরের দিন তিনি এই বিষয়টি তাঁর জেঠানিকে জানালে তাঁকে চুপ থাকতে বলা হয়। এরপর যখন তিনি স্বামীর চিকিৎসার কথা বলেন, তখন স্বামী, জেঠ এবং জেঠানি মিলে তাঁকে গালমন্দ করেন, মারধর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। এক দিন সুযোগ বুঝে ওই গৃহবধূর জেঠ তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন এবং জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। প্রতিবাদ করলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর গয়নাগাটি কেড়ে নেন।
নববধূর আরও অভিযোগ, গত ৯ মার্চ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর ৩০ জুন তিনি তাঁর স্বামীর অসুস্থতার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁকে দেখতে যান। সেখানে তাঁর জেঠ এবং স্বামী মিলে তাঁর মুখ চেপে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
এছাড়াও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণ হিসেবে দুই লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগও এনেছেন তিনি। রাওতপুর থানার ইনচার্জ কে কে মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় মহলের মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, একজন নারী তাঁর নিজের স্বামীর পরিবারেই কতটা সুরক্ষিত? এই সম্পর্কের নেপথ্যে আর কী কী লুকিয়ে আছে, তা জানতে তদন্তের দিকেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।