হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে রোজ খান এই ৬ খাবার! ডাক্তার বললেন, শরীর থেকে দূর হবে ‘গন্দা’ কোলেস্টেরল – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

বর্তমান সময়ে অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, তাই হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হার্ট সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

কৈলাশ দীপক হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজিস্ট ড. মোহিত অরোরা জানিয়েছেন, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস। তিনি এমন ৬টি খাবারের নাম উল্লেখ করেছেন যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলি নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বহুলাংশে কমে যায়।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক ড. অরোরা প্রস্তাবিত সেই ছয়টি খাবার কী কী:

১. ডাল ও শস্যদানা

রাজমা, মুসুর ডাল, ছোলা এবং অন্যান্য শস্যদানায় ফাইবার বা তন্তু প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই খাবারগুলি ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। একইসঙ্গে, এগুলি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

২. ফল ও সবজি

আপেল, আঙুর, কমলালেবু, ঢ্যাঁড়স এবং বেগুন জাতীয় ফল ও সবজিতে পেকটিন ফাইবার থাকে। এই বিশেষ ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়।

৩. গোটা শস্য

ওটস, বার্লি এবং অন্যান্য গোটা শস্যে দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়। এই ফাইবার কোলেস্টেরলকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়, যা LDL-এর মাত্রা কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

৪. স্বাস্থ্যকর তেল

অলিভ (জলপাই), সূর্যমুখী এবং ক্যানোলা তেলের মতো স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করুন। এগুলি স্যাচুরেটেড ফ্যাট-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫. বাদাম জাতীয় খাবার

বাদাম, আখরোট এবং চিনাবাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এই খাবারগুলি খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে।

৬. ফ্যাটযুক্ত মাছ

স্যালমন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মতো মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ড. মোহিত অরোরার পরামর্শ, এই খাবারগুলিকে রোজকার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হৃদরোগ থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়। এর পাশাপাশি, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুমও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এই অভ্যাসগুলি মেনে চললে, হার্ট সংক্রান্ত গুরুতর রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *