বিশ্বজুড়ে আজও যে নামগুলি মানুষকে এক অদ্ভুত উদ্বেগ ও ভয়ের মধ্যে ফেলে, তার মধ্যে অন্যতম হলেন বিশ্ববিখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙা। তাঁর বহু ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় আজও তিনি বিশ্বজুড়ে চর্চার কেন্দ্রে। সম্প্রতি তাঁর এমন একটি নতুন ভবিষ্যদ্বাণী সামনে এসেছে, যা নিয়ে আগামী বছর জুড়ে সম্ভাব্য বৈশ্বিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং তা ঘুম কেড়েছে সাধারণ মানুষের।

আগামী বছর কি অপেক্ষা করছে মহাযুদ্ধ?

বাবা ভাঙার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আগামী বছরটি হয়তো শান্তিতে কাটবে না। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আগামী বছর এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড়সড় সংঘাত বা যুদ্ধের সৃষ্টি হতে পারে। তাঁর সেই আশঙ্কার বাণী সত্যি হলে, এর ফলস্বরূপ বড় ধরনের ধ্বংসলীলা এবং অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঝুঁকি রয়েছে। স্বভাবতই এই ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্ব শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। আসলে কী হবে? সেই উত্তর খুঁজছে গোটা বিশ্ব।

কেন তাঁর সতর্কবার্তা নিয়ে এত উদ্বেগ?

বাবা ভাঙার নতুন সতর্কবার্তা নিয়ে মানুষের মনে এত অস্থিরতা থাকার মূল কারণ হলো, অতীতে তাঁর বহু ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া ৯/১১-এর জঙ্গি হামলা, চিনের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ২০২৫ সালে মায়ানমারে ভূমিকম্পের মতো ঘটনা।

এর আগে ২০২৫ সালেও তিনি একটি যুদ্ধের সতর্কতা দিয়েছিলেন, যা ভারত-পাকিস্তান, পাকিস্তান-আফগানিস্তান, ইজরায়েল-ইরান এবং থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে হওয়া একাধিক ছোট-বড় সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। যদিও পরে অনেক জায়গায় যুদ্ধবিরতিও কার্যকর হয়। এই সব কারণেই তাঁর বর্তমান সতর্কবার্তাটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

কে এই রহস্যময় নারী ভবিষ্যদ্বক্তা?

অনেকেই হয়তো জানেন না যে বাবা ভাঙা আসলে একজন নারী ছিলেন। তাঁর আসল নাম ছিল ভেঙ্গেলিয়া পান্ডেভা গুশতেরোভা। ১৯১১ সালের ৩ অক্টোবর অটোমান সাম্রাজ্যে তাঁর জন্ম হয়। মাত্র ১২ বছর বয়সেই এক দুর্ঘটনায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। ১৯৯৬ সালের ১১ অগাস্ট ৮৪ বছর বয়সে বুলগেরিয়াতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর রহস্যময় আকর্ষণ আজও মানুষকে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে বাধ্য করে। এই সতর্কবার্তাটি যতটাই ভীতিজনক হোক না কেন, এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক ও সাবধান থাকার প্রেরণা যোগায়।