ট্রেনে শোয়া নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড! ‘আমি পুলিশে আছি, এক ফোনে সব উড়ে যাবে’ টিটিই-কে মহিলার ভয়ঙ্কর হুমকি – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

ট্রেনে সফরের সময় বসার সিট নিয়ে যাত্রী ও টিটিই-এর মধ্যে বচসা নতুন নয়। তবে সম্প্রতি একটি সংরক্ষিত কোচের ভেতরে ঘটে যাওয়া ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক মহিলা নিজের ‘পুলিশ পরিচয়’ ও ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে সহযাত্রী থেকে শুরু করে কর্তব্যরত টিটিই-কেও চরম হুমকি দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজন যাত্রীর এমন উদ্ধত আচরণের নেপথ্যে আসলে কী কারণ?

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ২৬ অক্টোবর ভাইরাল হওয়া এই ঘটনায় একজন মহিলা দিনের বেলা নিজের মেয়ের জন্য আসনে শোবার জন্য জোর করছেন। অন্য এক যাত্রী তাতে আপত্তি জানালে মহিলা তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ হন। তিনি সরাসরি সেই যাত্রীকে ধমকে ওঠেন, “আরে চুপ থাকুন আপনারা, ফালতু আমার মেজাজ খারাপ করছেন।” এরপরই তিনি বলেন, “তোমার থেকে আমার বেশি ক্ষমতা আছে।”

পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে টিটিই প্রবেশ করেন। তিনি মহিলাকে শান্ত হতে অনুরোধ করলে, মহিলা টিটিই-এর উদ্দেশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। তিনি জানান, “আমরা বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ট্রেনে বসে আছি, রাত ১০টা পর্যন্ত কি বসে বসেই সফর করব? তাহলে ১১০০ টাকা কিসের জন্য দিলাম?”

টিটিই অত্যন্ত শান্তভাবে রেলের নিয়ম সম্পর্কে মহিলাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি স্পষ্ট জানান, রেলের নিয়ম মেনেই ভ্রমণ করতে হবে এবং “রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আপনি শুয়ে থাকতে পারেন।”

তবে টিটিই-এর কথায় কর্ণপাত না করে মহিলা ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সরাসরি হুমকি দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “আমি পুলিশে আছি, আমার পুরো পরিবার ডিআরএম (DRM) এবং ডিআর (DR)-এ আছে। এখন একটা ফোন করব, সব নড়ে যাবে (হিল যাওগে)।”

মহিলার এই হুমকির জবাবে টিটিই সোজাসাপটা উত্তর দেন, “হ্যাঁ, রেলকে নড়িয়ে দিন!

এরপর মহিলা টিটিই-এর বিরুদ্ধে অন্য যাত্রীকে সমর্থন করার অভিযোগ আনেন এবং হঠাৎই কেঁদে ফেলেন। এরপর তিনি ফোনে কাউকে চিৎকার করে ডাকতে থাকেন। যদিও এই ঘটনার শেষে কী হলো, সে সম্পর্কে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “সরকারি কর্মকর্তারা সব সময় নিজের বিভাগের প্রভাব দেখান।” আসলে ওই মহিলা কেন এতটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন এবং দিনের বেলায় শোবার দাবিতে কেন অনড় ছিলেন, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের কোনো মন্তব্য এখনো জানা যায়নি। এই ধরণের ঘটনা ট্রেনের পরিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *