ওষুধের দাম নিয়ে দোকানদারের সাথে তর্কের পর আইন ছাত্রের পেট ফেটে গেল, দুটি আঙুল কেটে ফেলা হল; মাথায় ১৪টি সেলাই – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

উত্তর প্রদেশের কানপুরে এক ভয়ঙ্কর ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সামান্য ওষুধের দাম নিয়ে বিতর্কের জেরে ২২ বছর বয়সী এক ল’ছাত্রকে এমন নৃশংসভাবে আঘাত করা হয়েছে যে তার পেটের ভেতরের অংশ বেরিয়ে এসেছে এবং হাতের দুটি আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন ওই ছাত্র।

कानপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র অভিজিৎ সিং চান্দেল ওষুধ কিনতে স্থানীয় একটি দোকানে গিয়েছিলেন। সেখানে ওষুধের দাম নিয়ে দোকানদারের সঙ্গে তার তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। সেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন দোকানের কর্মী অমর সিং। কথা কাটাকাটি একসময় হাতাহাতিতে পৌঁছালে অমর সিং ফোন করে তার ভাই বিজয় এবং আরও দু’জন সহযোগীকে ডেকে নেয়।

চারজন মিলে এরপর অভিজিতের উপর হামলা চালায়। মারধরের জেরে ছাত্রটি মাথায় গুরুতর আঘাত পান এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। চিকিৎসকরা পরে তার মাথায় ১৪টি সেলাই করেছেন।

পেট চিরে দিল, কেটে নিল আঙুল

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা ছাত্রটিকে চেপে ধরে পেটে সজোরে আঘাত করে। এরপর কোনো ধারালো বস্তু দিয়ে তার পেট চিরে দেওয়া হয়, যার ফলে পেটের ভেতরের অংশ বাইরে বেরিয়ে আসে।

কোনোমতে তাদের হাত থেকে ছুটে অভিজিৎ সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে করতে বাড়ির দিকে দৌড়াতে শুরু করেন। কিন্তু হামলাকারীরা তাকে আবারও ধরে ফেলে এবং তার এক হাতের দুটি আঙুল কেটে দেয়।

অভিজিতের চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে এসে মাঝখানে দাঁড়ান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

হাসপাতালে অভিজিতের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

একই এলাকায় শিশু হত্যার ঘটনা

উল্লেখ্য, এই ঘটনাটি সেই এলাকাতেই ঘটেছে, যেখানে কয়েক দিন আগে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। কানপুরের বররা এলাকার হারদেও নগরে ৬ বছরের এক মাসুম শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। শিশুটির নাম ছিল আয়ুষ সোনকার। পুলিশ সন্দেহ করছে, শিশুটির মায়ের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ उपायुक्त (দক্ষিণ) দীপেন্দ্র নাথ চৌধুরীর মতে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *