এই ৫ উপায়ে তুষ্ট হন শ্রী হরি! দেবউত্থান একাদশীতে কী করলে ফিরবে সৌভাগ্য, ঘটবে ধন-বৃষ্টি? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবউত্থান একাদশী। সনাতন ধর্মমতে, এই তিথিতেই দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে জেগে ওঠেন সৃষ্টির পালনকর্তা শ্রীহরি বিষ্ণু। আগামী শনিবার, ১ নভেম্বর, এই শুভ তিথি। এই দিন বিষ্ণুর জাগরণের সঙ্গেই শেষ হয় চাতুর্মাস্য, পুনরায় শুরু হয় বিবাহসহ সকল মাঙ্গলিক কাজ। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম।
শাস্ত্র অনুসারে, দেবউত্থান একাদশীর দিনে নিষ্ঠা ভরে বিষ্ণুর পূজা ও ব্রত করলে সকল পাপ নাশ হয়, জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই ব্রত পালন করলে মৃত্যুর পর বৈকুণ্ঠ ধামে স্থান মেলে।
তবে জ্যোতিষবিদদের মতে, কেবল পূজা-অর্চনা নয়, এই বিশেষ দিনে কিছু নির্দিষ্ট টোটকা বা উপায় পালন করা আবশ্যক। মনে করা হয়, এই জ্যোতিষিক প্রতিকারগুলি পালন করলে ঘরে স্বয়ং মা লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হয় এবং মেলে শ্রীবিষ্ণুর আশীর্বাদ। চলুন জেনে নেওয়া যাক দেবউত্থান একাদশী তিথিতে কোন ৫টি বিশেষ উপায় জীবনে ধন-ধান্য ও সৌভাগ্য নিয়ে আসতে পারে।
দেবউত্থান একাদশীতে করবেন এই ৫টি কাজ:
- তুলসীকে লাল চুনরি অর্পণ: এই দিন দেবী তুলসীর মূর্তিতে বা বৃক্ষে অবশ্যই লাল চুনরি অর্পণ করুন। এতে তুলসী মাতা প্রসন্ন হন। সঙ্গে শ্রীবিষ্ণু এবং লক্ষ্মী দেবীরও আশীর্বাদ লাভ হয়। এছাড়া, একটি হলুদ রঙের সুতোয় ১১টি গাঁট (গিঁট) বেঁধে তুলসী গাছে বেঁধে দিতে পারেন।
- কলা (ক’লা) নিবেদন: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবউত্থান একাদশীতে তুলসী মাকে অবশ্যই কলা (হাতে বাঁধার পবিত্র সুতো) অর্পণ করা উচিত। মনে করা হয়, এই কাজটি করলে পরিবারে তুলসী মায়ের কৃপা চিরকাল বজায় থাকে।
- কাঁচা দুধ ও প্রদীপ: দেবউত্থান একাদশীর শুভ দিনে তুলসী দেবীকে কাঁচা দুধ নিবেদন করুন। এর পাশাপাশি একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করুন। কথিত আছে, এতে ভগবান বিষ্ণু ও মাতা তুলসী অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তদের ওপর তাঁদের অসীম কৃপা বজায় থাকে।
- ৫টি তুলসী পত্র নিবেদন: শ্রীহরি বিষ্ণু এবং মাতা তুলসীর আশীর্বাদ পেতে দেবউত্থান একাদশীর দিন কমপক্ষে ৫টি তুলসী পাতা বা পত্র অবশ্যই অর্পণ করুন। মনে করা হয়, এটি করলে শ্রীহরি এবং তুলসী মাতা একসঙ্গে ভক্তের ওপর করুণা বর্ষণ করেন।
মান্যতা অনুসারে, দেবউত্থান একাদশীর দিন এই বিশেষ ৫টি টোটকা বা উপায় মেনে চললে ভগবান বিষ্ণু, মা লক্ষ্মী এবং তুলসী মাতার সম্মিলিত আশীর্বাদ পাওয়া যায়, যার ফলে জীবনে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং গৃহে মা লক্ষ্মীর স্থির কৃপা বিরাজ করে।