‘পিরিয়ডসে ছুটি চাই’, সুপারভাইজার বলল ‘কাপড় খোলো’! হরিয়ানার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কী ঘটল? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
হরিয়ানার রোহতকে অবস্থিত মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে (MDU) নারী সাফাই কর্মী এবং কর্তৃপক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার (কাল) তীব্র বাদানুবাদ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত, পিরিয়ডসের কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ায় দুজন নারী সাফাই কর্মী নিজেদের সুপারভাইজারের কাছে কিছুক্ষণের বিরতি বা ছুটি চেয়েছিলেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে যে, ওই সুপারভাইজার নাকি তাদের ‘কাপড় খুলে’ মাসিক ঋতুস্রাব পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পরেই সাফাই কর্মীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তারা তীব্র প্রতিবাদে সরব হন।
এই বিতর্ক দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ছাত্র সংগঠনগুলিও সাফাই কর্মীদের সমর্থনে এগিয়ে আসে। তারা অভিযুক্ত সুপারভাইজারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার দাবি জানাতে থাকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি হলে তড়িঘড়ি সুপারভাইজারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাফাই কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, ঋতুস্রাবের জন্য অসুস্থ বোধ করায় তারা কিছুটা বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন। তারা এ বিষয়ে সুপারভাইজারের সাথে কথা বললে, তিনি তাদের সমস্যা বোঝার বদলে অভদ্র আচরণ শুরু করেন। অভিযোগ, সুপারভাইজার একজন নারী নিরাপত্তা কর্মীর মাধ্যমে ওই নারী সাফাই কর্মীদের কাপড় খুলে পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন। যখন নারী কর্মী এতে অস্বীকার করেন, তখন তাদের সাথে জোর জবরদস্তি করার চেষ্টা করা হয়। এমনকি, অভিযোগ উঠেছে যে সুপারভাইজার নাকি পরীক্ষার জন্য কাপড় খুলে ছবি তুলতেও বলেছিলেন। এরপরই অন্য সাফাই কর্মীরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন এবং জোরদার বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কে কে গুপ্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের সাথে যা কিছু ভুল হয়েছে, তারা সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবেন। তিনি বলেন, আপাতত সুপারভাইজারকে সরানো হয়েছে এবং এই ঘটনায় যে-ই দোষী সাব্যস্ত হবে, তাকে কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রার আরও জানান, প্রয়োজন হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি/উপজাতি (SC/ST) আইনে মামলাও দায়ের করা হবে। কোনও নারী কর্মীর সাথে এ ধরনের আচরণ সহ্য করা হবে না। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নারী সাফাই কর্মীরা বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেউই পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।