ভারত বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি করবে, হতবাক চীন ও পাকিস্তান! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
নয়াদিল্লি: ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে চলেছে এক বিশাল পদক্ষেপ। শীঘ্রই ছয়টি নতুন মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার বিমান হাতে পেতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে চলেছে ইজরায়েলের সরকারি সংস্থা ইজরায়েল এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিজ (IAI)-এর সঙ্গে।
যদি এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়, তবে তা শুধু ভারতীয় বায়ুসেনার অপারেশনাল ক্ষমতাকেই নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে না, বরং প্রতিবেশী দুই দেশ চীন ও পাকিস্তানকে এক স্পষ্ট বার্তা দেবে যে ভারত তার আকাশসীমার শক্তি কোনো অবস্থাতেই দুর্বল হতে দেবে না। ঠিক কী কারণে এই বিমানগুলি ভারতের জন্য গেমচেঞ্জার হতে চলেছে?
উন্নত ট্যাঙ্কার দেবে IAI, থাকছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ছোঁয়া
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, IAI সংস্থা পুরোনো বোয়িং ৭৬৭ বাণিজ্যিক বিমানগুলিকে অত্যাধুনিক ‘এয়ার-টু-এয়ার’ রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার বিমানে রূপান্তরিত করে ভারতীয় বায়ুসেনাকে হস্তান্তর করবে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এই চুক্তিতে প্রায় ৩০ শতাংশ ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, বিমানের কিছু যন্ত্রাংশ ও কারিগরি সহায়তা ভারতেই তৈরি করা হবে।
কেন এই ট্যাঙ্কার বিমানগুলি এত জরুরি?
বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে রাশিয়া নির্মিত মাত্র ছয়টি Il-৭৮ ট্যাঙ্কার বিমান রয়েছে। এগুলি আগ্রা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন আছে এবং বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে আকাশে জ্বালানি ভরার কাজ করে। কিন্তু সংখ্যা সীমিত হওয়ায় দীর্ঘ অপারেশন বা একাধিক ফ্রন্টে একসঙ্গে কাজের সময় বায়ুসেনাকে সমস্যায় পড়তে হয়।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই ট্যাঙ্কার বিমানগুলিকে ‘ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার’ বা সামরিক সক্ষমতার গুণক হিসাবে দেখেন। এর মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলি একটানা অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে, যার ফলে ভারতের কৌশলগত গভীরতা এবং অপারেশনাল ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
কেন ইজরায়েল হলো ভারতের প্রথম পছন্দ?
এই চুক্তির জন্য রাশিয়া এবং ইউরোপীয় কো ম্পা নিগুলিও প্রতিযোগিতায় ছিল। কিন্তু কারিগরি মান, সামগ্রিক খরচ এবং স্থানীয় উৎপাদনের শর্তগুলির ভিত্তিতে ভারত ইজরায়েলি সংস্থাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে। IAI এর আগে থেকেই ভারত সরকারের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্রকল্পে, যেমন—বরাক মিসাইল সিস্টেম, হেরন ড্রোন এবং নেভাল রাডার সিস্টেমে কাজ করছে। এই দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দুই দেশের সম্পর্ককে মজবুত করেছে।