মৃত্যুর পর প্রথম রাতে আত্মার সঙ্গে ঠিক কী ঘটে? পুরাণ থেকে রহস্য ফাঁস – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

মৃত্যুর কথা ভাবলেই গা ছমছম করে, কিন্তু আসল প্রশ্ন হল, জীবন চলে যাওয়ার পর ঠিক কী হয়? হাজার বছর ধরে আধুনিক বিজ্ঞান উন্নত প্রযুক্তি, ব্রেন স্ক্যান এবং নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স (NDE) গবেষণা করেও এই রহস্যের জট খুলতে পারেনি। কিন্তু হাজার হাজার বছর পুরোনো গরুড় পুরাণ-এ এই প্রশ্নের এমনই এক ভয়ঙ্কর ও রোমহর্ষক উত্তর দেওয়া হয়েছে, যা জানার পর আপনার রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে।

জেনে নিন, দেহ ত্যাগের পর একটি আত্মা প্রথম রাতে ঠিক কী কী ভয়ংকর ও চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়, যা বিজ্ঞানকেও অবাক করে দেয়।

প্রথম রাতের সেই যন্ত্রণা

গরুড় পুরাণ অনুসারে, যখনই প্রাণ শরীর ছেড়ে চলে যায়, আত্মা আলাদা হয়ে যায়, কিন্তু এটি সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পায় না। জাগতিক ভ্রম ও মোহের কারণে এই আত্মা তার বাড়ি, পরিবার এবং মৃতদেহের চারপাশে ঘোরাফেরা করতে থাকে। জীবিত থাকাকালীন যেমন ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ক্রোধ বা আকাঙ্ক্ষার তীব্র অনুভূতি হতো, মৃত্যুর পরও সেই একই অনুভূতি আত্মাকে নিরন্তর কষ্ট দিতে থাকে। হিন্দু ধর্মে এই কারণেই মৃতের আত্মাকে দ্রুত ‘প্রেত’ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়, যাতে সে भटकতে না পারে।

বিজ্ঞান যা বলে, ধর্ম তার চেয়েও বেশি

আধুনিক বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় এই অভিজ্ঞতাগুলিকে মনস্তাত্ত্বিক আঘাতের (Psychological Trauma) সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু গরুড় পুরাণ একে আত্মার এক আধ্যাত্মিক যাত্রা এবং যন্ত্রণার অংশ বলে মনে করে।

মৃত্যুর পর প্রথম রাতটি আত্মার জন্য সবচেয়ে কঠিন। সেই সময় তার মনে হতে থাকে যেন সে এক অন্ধকার, অজানা জগতে সম্পূর্ণ একা ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মৃত শরীর দেখে আত্মা মরিয়া হয়ে তাতে ফিরতে চায়, কিন্তু যমদূতদের ভয় তাকে বাধা দেয়।

কর্মের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় সেই যাত্রা

পুরাণে আরও বলা হয়েছে, যারা ভালো ও পুণ্য কাজ করেছেন, তাদের আত্মাকে স্বয়ং বিষ্ণুর দূতেরা ফুল দিয়ে সাজানো রথে করে নিয়ে যান। অন্যদিকে, যারা পাপি বা খারাপ কাজ করেছেন, তাদের জন্য হাজির হন ভয়ঙ্কর যমদূতরা, যাদের লোমশ ও ভয়াল রূপ এবং লোহার থাবা আত্মাকে ধরে ফেলে এবং টেনে নিয়ে যায় যমপুরীর দিকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *