কুমড়োর বীজ: আপনি কি নিয়মিত কুমড়োর বীজ খান? শরীরে এমনটাই ঘটে! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

কুমড়োর বীজ বা পাম্পকিন সিডস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কুমড়োর মতোই এই বীজগুলিও নানা ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর। এগুলিতে রয়েছে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য এই বীজগুলি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়

বিশ্বজুড়ে হৃদরোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন প্রায় ২ গ্রাম কুমড়োর বীজ খাওয়া উচিত। এই বীজে থাকা পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন সি আমাদের হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

গাঁটের ব্যথা ও ভালো ঘুম

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাঁটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন খুবই কষ্টদায়ক হতে পারে। আর্থ্রাইটিস থেকে মুক্তি পেতে আপনি এই বীজ খেতে পারেন, কারণ এটি প্রাকৃতিক ভেষজের মতো কাজ করে এবং ব্যথা উপশম করে।

এছাড়াও, কুমড়োর বীজ অনিদ্রার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনধারা এবং ঘুমের অভাবের কারণে অনেকে দিনের বেলায় ক্লান্তিতে ভোগেন। সেক্ষেত্রে কুমড়োর বীজ অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরে শক্তি বাড়ায়, যার ফলে আপনি নতুন উদ্যম নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এই বীজে থাকা ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড ভালো ঘুম আনতে এবং অনিদ্রা দূর করতে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ ও হজম ক্ষমতা

কুমড়োর বীজে ফাইবার বা আঁশ প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা সঠিক হজম প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এই বীজে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ওজন হ্রাস

ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কুমড়োর বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার এবং প্রোটিন থাকার কারণে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, যা ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক।

কুমড়োর বীজ নিয়মিত সেবন করলে আপনি যেমন অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন, তেমনই দৈনিক জীবনে আরও সক্রিয় ও সতেজ থাকতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *