এত দিন ধরে ‘লুঠ উৎসব’ চলছিল? মোদীকে খোঁচা অভিষেকের, শুভেন্দুকেও দিলেন পাল্টা জবাব – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

ভোটের ফল প্রকাশের পর জিএসটি (GST) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন, প্রধানমন্ত্রী এখন ‘বচত উৎসব’-এর কথা বলছেন, তাহলে কি এত দিন ধরে ‘লুঠ উৎসব’ চলছিল? একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কমে যাওয়ায় তারা চাপে পড়েছে, আর তার ফলেই জিএসটি কমানোর মতো জনমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, “বিজেপি জিতলে ট্যাক্স বাড়ে, হারলে কমে। ১০ বছর ধরে সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হয়নি। অর্থনীতি রসাতলে পাঠিয়ে এখন মানুষের বেগ পেয়ে জিএসটি কমছে। যদি ৩০৩ থেকে ২৪০-এ আসন না নামত, তাহলে হয়তো এই পদক্ষেপ দেখা যেত না।”

জিএসটি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ে রাজ্যের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি ক্ষমতায় নেই, সেখানে কেন্দ্র টাকা আটকে রাখার চেষ্টা করে। তাঁর মতে, মানুষ এখন অনেক বেশি বিচক্ষণ এবং তারা বিজেপি-র এই দ্বিচারিতা বুঝতে পারছেন।

শুভেন্দু অধিকারীর ‘হিন্দুত্ব’ কটাক্ষের জবাবে অভিষেক বলেন, যদি মহালয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর মণ্ডপ উদ্বোধন হিন্দু বিরোধী হয়, তাহলে দেশের সবচেয়ে বড় হিন্দু বিরোধী তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ, তিনি নির্বাচনের তিন মাস আগে রাম মন্দির উদ্বোধন করেছিলেন। এরপর তিনি সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্ন করেন, “শুভেন্দু অধিকারীকে কি আপনারা এই প্রশ্ন করার সাহস রাখেন?” বিজেপি-র এই দ্বিচারিতা মানুষের সামনে স্পষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইডি এবং সিবিআই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, তিনি বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থাশীল। তবে ১০ বছর ধরে তদন্ত চালিয়েও এই সংস্থাগুলি মানুষের টাকা ফেরত দিতে পারেনি। তাঁর অভিযোগ, যারা বিজেপি-তে যোগ দেন, তাদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পক্ষান্তরে, বিরোধীদের হেনস্তা করার জন্যই ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *