এই রাজ্যের মেয়েরা বিয়ে করতে অনিচ্ছুক, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও স্থায়ী হতে অস্বীকৃতি জানায় – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

জম্মু-কাশ্মীরের তরুণীদের মধ্যে একটি নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা ভাবিয়ে তুলছে সমাজকে। একসময় যেখানে বিয়েকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখা হতো, এখন সেখানেই বহু তরুণী বিয়ে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষ করে যারা কর্মজীবন, আত্মনির্ভরশীলতা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তারা বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও সংসার পাতার বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নন।

বদলে যাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি, বদলাচ্ছে অগ্রাধিকার

জম্মু-কাশ্মীরের তরুণীদের মধ্যে এই পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো। শিক্ষা ও কর্মজীবনের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিন্তাভাবনাতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যেখানে আগে ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সকে বিয়ের জন্য আদর্শ মনে করা হতো, এখন সেখানে মেয়েরা সেই সময়টা কাজে লাগাচ্ছেন শিক্ষা ও রোজগারের জন্য। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক কিংবা সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।

বাবা-মায়ের চিন্তা বাড়ছে

এই নতুন ধারা নিয়ে আলোচনা চলছে গ্রাম ও শহরের সর্বত্র। বাবা-মায়েরা মনে করছেন, নির্দিষ্ট বয়সের পর ভালো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে মেয়েরা বলছেন, “যাবতীয় সব ভূতের ভয়ে যদি সঠিক জীবনসঙ্গী না পাই, তাহলে অবিবাহিত থাকাই ভালো।” তাদের এই ভাবনা বহু বাবা-মায়ের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় ৫৭% নারী বর্তমানে অবিবাহিত। এর মধ্যে বিধবা ও বিবাহবিচ্ছিন্না নারীরাও রয়েছেন। এখানে নারীদের বিয়ের গড় বয়স এখন বেড়ে ২৪ বছর হয়েছে, যেখানে সারা দেশে এই গড় বয়স ২২ বছর।

বিতর্ক বাড়ছে সমাজে

কেউ কেউ এই পরিবর্তনকে আধুনিক চিন্তাভাবনা ও নারীর স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন এর ফলে পারিবারিক কাঠামোতে প্রভাব পড়তে পারে। পুরোনো প্রজন্মের বিশ্বাস, “যাবতীয় সব ভূতের ভয়ে” দ্রুত বিয়ে করাটাই বেশি নিরাপদ। এই বিপরীতমুখী চিন্তাভাবনা সমাজে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *