সারের দাম কি সত্যিই কমবে? জিএসটি-তে বদল আসতেই বিভ্রান্তিতে কৃষকরা – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
কলকাতা: একাধিক বিভ্রান্তির মাঝেই সোমবার চালু হয়েছে নতুন জিএসটি কর কাঠামো। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সার তৈরির কাঁচামাল— যেমন অ্যামোনিয়া, সালফিউরিক অ্যাসিড, ও নাইট্রিক অ্যাসিডের ওপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। কিন্তু, তৈরি সারের ওপর জিএসটি অপরিবর্তিত রেখে ৫ শতাংশই রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এতে কি সত্যিই সারের দাম কমবে? নাকি সার প্রস্তুতকারকদের লাভই শুধু বাড়বে? কৃষকদের মধ্যে এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, কাঁচামাল এবং তৈরি সারের জিএসটি-র ফারাক থাকার কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সমস্যা দূর করতেই এই নতুন হার কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের প্রকৃত সুফল কৃষকরা পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
গত এক বছরে সারের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যেমন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গে বহুল ব্যবহৃত এনপিকে ১০:২৬:২৬ সারের ৫০ কেজির বস্তার দাম ছিল ১,৪৭০ টাকা, যা এখন প্রায় ১,৯০০ টাকায় পৌঁছেছে। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, কাঁচামালের ওপর জিএসটি কমার পরও যদি তৈরি সারের ওপর জিএসটি না কমে, তাহলে শেষ পর্যন্ত এর ইতিবাচক প্রভাব সারের দামে পড়বে কি? কৃষকদের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ কৃষক আদৌ লাভবান হবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও এই মুহূর্তে এর কোনো নিশ্চিত উত্তর দিতে পারছেন না। ফলে, সারের দাম কমার আশা নিয়ে কৃষকদের সংশয় আরও বাড়ছে।