মেয়েটির বিয়ে হচ্ছিল না…ভণ্ড বাবা তন্ত্র-মন্ত্র ব্যবহার করে তাকে ধর্ষণ, যেভাবে ফাঁস হলো ‘তান্ত্রিকের’ কুকীর্তি! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

এক নারী। বয়স সাঁইত্রিশ। বিয়ে হচ্ছে না, সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। হতাশা আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটছিল তার। এমন সময় সামনে আসে এক ‘যোগী’ বা তান্ত্রিক। সে চাকরির টোপ দেয়, বিয়ের টোপ দেয়। শুধু বলে— ‘আমার সঙ্গে থাকতে হবে।’ নারী রাজি হন। এরপর যা হলো, তা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।

ঘটনাটি বিহারের সীতামঢ়ীর। পূজাপাঠের নাম করে এক যুবকীর সঙ্গে দেড় বছর ধরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিল এক স্বঘোষিত তান্ত্রিক। শেষ পর্যন্ত ওই যুবতীর আত্মহত্যার চেষ্টার পর সামনে আসে তার কুকীর্তি। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তান্ত্রিককে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম গোবিন্দ ঝা। সে ওই যুবতীর বাড়িতে যাতায়াত করত। নানা রকম পূজাপাঠের ছলে ওই পরিবারকে নিজের বশে নিয়ে আসে। যুবতীর বিয়ে না হওয়ায় একদিন তার পরিবার গোবিন্দ ঝাকে অনুরোধ করে, যদি কোনোভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ওই তান্ত্রিক। সে জানায়, যুবতীর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। শুধু এর জন্য কিছু বিশেষ পূজাপাঠ করতে হবে। সেইমতো একদিন ওই যুবতীকে একা একটি মন্দিরে যেতে বলে গোবিন্দ। কিন্তু যুবতী যেতে রাজি না হওয়ায় সে বাড়িতেই চলে আসে।

এরপর জলপানের ছলে ওই যুবতীকে সংজ্ঞাহীন করে ফেলে গোবিন্দ। এরপর সে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে এবং এর ভিডিও তুলে রাখে। পরে ভিডিওটি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার যুবতীকে ধর্ষণ করে সে। এভাবেই প্রায় দেড় বছর ধরে চলে এই অনাচার।

এদিকে, গোবিন্দ ঝা যুবতীকে বলেছিল, এই পূজার ফলে তার একটি ভালো সরকারি চাকরি হবে এবং একটি বড় চাকরিজীবীর সঙ্গে তার বিয়ে হবে। সম্প্রতি যুবতী একটি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিল। ফল প্রকাশের পর সে দেখে মাত্র ৪০ নম্বর পেয়েছে। এরপরই ওই যুবতী হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তার পরিবার তাকে ধরে ফেলে। তখন পুরো ঘটনাটি সামনে আসে।

এরপরই ওই যুবতী তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ গোবিন্দকে সীতামঢ়ীর রেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে এবং তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *