আলাদা করে জিএসটি কমানো হলেও বাড়ছে পণ্যের দাম! পেছনের কারণ জানলে অবাক হবেন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় একাধিক পণ্যে জিএসটি কমার পর যেখানে উৎসবের মেজাজ, সেখানে এক অন্য খবর ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, সবকিছুতেই দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে! আর এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে প্যাকেজিংয়ের খরচ বৃদ্ধি। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া নতুন জিএসটি হার অনুযায়ী, শুধুমাত্র কাগজের তৈরি প্যাকেটের দাম বৃদ্ধির কারণে প্যাকেটজাত পণ্যের দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে করোগেটেড পেপার প্যাকেজিং শিল্প। আর এই বাড়তি দামের চাপ শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের কাঁধেই পড়বে।

আসলে জিএসটি কাউন্সিল করোগেটেড পেপারবোর্ড বক্সের উপর কর ১২ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এই বক্সগুলো ফল, খাবার এবং ইলেকট্রনিক্সসহ নানা পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু একই সাথে এই বক্স তৈরির মূল উপাদান, ক্রাফট পেপার ও বোর্ডের জিএসটি ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। শিল্পমহলের অভিযোগ, এই ১৩ শতাংশের বর্ধিত করের ফলে বাক্স প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর কার্যকরী মূলধন আটকে থাকবে, কারণ করের রিফান্ড পেতে অনেক সময় লাগে।

নতুন কর ব্যবস্থায় কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য খরচ যেমন জবওয়ার্ক, ভাড়া, পরিবহন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচও ১৮ শতাংশ বাড়বে, কারণ এই পরিষেবাগুলোতে ইনপুট ক্রেডিট সুবিধা নেই। এর ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলো প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চাইবে না, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের ব্যবসা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইস্টার্ন ইন্ডিয়া করোগেটেড বক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রদীপ আগরওয়াল এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিলনকুমার দের মতে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে প্রায় ২০ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা কঠিন সংকটে পড়বে। তারা সরকারের কাছে বাক্স ও কাঁচামালের জিএসটির মধ্যে সমতা আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কারণ, শেষ পর্যন্ত এই বাড়তি খরচের বোঝা ক্রেতাদেরই বহন করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *