পৃথিবীতে এই তিন শ্রেণির মানুষই স্বর্গীয় সুখ পায়, জীবন থেকে বহু দূরে থাকে দুঃখ – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
আচার্য চাণক্যকে কেবল একজন অর্থনীতিবিদ হিসাবে দেখলে ভুল হবে। কূটনীতি, দর্শন, রাষ্ট্রনীতি থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞান ছিল অপরিসীম। চাণক্যের নীতি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে সঠিক পথে চলার দিশা দেখাচ্ছে। তাঁর অমূল্য নীতিগুলির মধ্যে এমন কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে যা অনুসরণ করলে জীবনে আসে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি।
চাণক্যের নীতিশাস্ত্র মানবজীবন এবং সমাজের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। এই নীতিগুলির মধ্যেই তিনি উল্লেখ করেছেন এমন তিন প্রকার মানুষের কথা, যাঁরা পৃথিবীতে থেকেই স্বর্গীয় সুখের স্বাদ উপভোগ করেন। জানতে ইচ্ছে করছে কী সেই তিনটি গুণ যা একজনকে এনে দেয় স্বর্গীয় সুখ?
চাণক্য নীতিশাস্ত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের তৃতীয় শ্লোকে আচার্য বলেছেন যে এই তিন শ্রেণির মানুষ পৃথিবীতে থেকেই স্বর্গীয় আনন্দ পান এবং জীবনে কোনো দুঃখ তাদের ছুঁতে পারে না। তাঁদের ঘর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ থাকে।
প্রথমটি হলো বাধ্য ছেলে
যে বাবার ছেলে সম্পূর্ণরূপে তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তাঁর প্রতিটি আদেশ পালন করে, সেই বাবা পৃথিবীতে থেকেই স্বর্গীয় আনন্দ পান। চাণক্যের মতে, এমন পরিবারে কোনো ঝামেলা থাকে না, বরং সুখ ও শান্তি বিরাজ করে।
দ্বিতীয়টি হলো বাধ্য স্ত্রী
যে পুরুষের একজন বাধ্য ও বুদ্ধিমতী স্ত্রী থাকে, তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান। একজন বাধ্য স্ত্রী কেবল স্বামীকে সমর্থনই করেন না, বরং সংসারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তৃতীয়টি হলো সম্পদে সন্তুষ্ট থাকা
চাণক্য বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের দেওয়া সম্পদে সন্তুষ্ট থাকে, সে-ই প্রকৃত সুখী ও ধনী। এমন ব্যক্তিরা জীবনে কখনো ব্যর্থতা, দুঃখ বা মানসিক চাপের সম্মুখীন হন না। তাঁদের মন শান্ত থাকে এবং তাঁরা সর্বদা তৃপ্তি ও আনন্দ অনুভব করেন।