বিউটি পার্লার না ক্লাসরুম? চেয়ারে পা তুলে বসে আছেন শিক্ষিকা, ছাত্রকে ডেকে পা টিপতে বললেন! ভাইরাল ভিডিওতে তোলপাড় – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
ভোপাল: স্কুল কি পড়াশোনার জায়গা নাকি আরাম করার? এমন প্রশ্নই ঘুরছে নেটদুনিয়ায়। ক্লাসরুমে পড়ানোর বদলে চেয়ারে পা তুলে বসে আছেন এক শিক্ষিকা। পাশের চেয়ারে পা রেখে এক ছাত্রকে ডেকে পা টিপে দিতে বলছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র শোরগোল।
জানা গেছে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের মহাত্মা গান্ধী হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের। সেখানে এক শিক্ষিকা ক্লাসের মধ্যেই চেয়ারে পা তুলে বসে এক ছাত্রকে পা টিপে দিতে বলেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি বেশ আরাম করে এই দৃশ্য উপভোগ করছেন। কিন্তু কেউ ভিডিও করছেন বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি পা নামিয়ে নেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, ওই স্কুলের অনেক ক্লাসরুমেই বেঞ্চের ব্যবস্থা নেই। ছাত্রছাত্রীরা মেঝেতে বসে ক্লাস করে। অথচ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য চেয়ার-টেবিল রয়েছে। জানা গেছে, ওই চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত বেঞ্চ ছিল না, সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। শিক্ষিকা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর পায়ে ব্যথা ছিল। তাই ছাত্রটি দেখতে এসেছিল কী হয়েছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষিকার এই কাজের বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় নেটিজেনরাও শিক্ষিকার ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ওড়িশার স্কুলে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধর! পা ছুঁয়ে প্রণাম না করায় চরম শাস্তি দিলেন শিক্ষিকা
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে এক শিক্ষিকার কাণ্ড নিয়েও তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। স্কুলে পা ছুঁয়ে প্রণাম না করায় ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ৩১ জন ছাত্রছাত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম সুকান্তী কর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে প্রার্থনার পর ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ক্লাসে চলে যায়। এরপর ওই শিক্ষিকা তাদের কয়েকজনকে ডেকে পাঠান এবং কেন তারা প্রণাম করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এরপরই বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আহত ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানালে তারা স্কুলে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরে আহতদের বেটনটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেন। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।