কে বেশি ঘুমায় পুরুষ না মহিলা? গবেষণা যা জানাচ্ছে… – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
ঘুম আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ ও নিরোগ থাকার জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। এটি শুধু শরীরকেই সতেজ রাখে না, বরং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমায়। কিন্তু এই ঘুম নিয়েই একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে—পুরুষদের চেয়ে মহিলারা বেশি ঘুমান। এই ধারণা কি সত্যি? নাকি পুরোটাই মিথ?
গবেষকদের সাম্প্রতিক তথ্য এই প্রশ্নের এক চমকপ্রদ উত্তর দিয়েছে। দেখা গেছে, মহিলারা সত্যিই পুরুষদের চেয়ে বেশি ঘুমান। এর পেছনে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। নারীদের জীবনে বিভিন্ন বয়সে শারীরিক ও হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমকে আরও জরুরি করে তোলে। এই পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে এবং সুস্থ থাকতে ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম।
এছাড়াও, দৈনন্দিন জীবনে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা প্রায়শই বেশি মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের সম্মুখীন হন। ঘর ও বাইরের কাজের চাপ সামলে সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য তাঁদের পর্যাপ্ত এবং গভীর ঘুমের প্রয়োজন হয়। তাই বলা চলে, কেবল ঘুম নয়, ভালো মানের ঘুমও তাঁদের জন্য বেশি জরুরি।
তবে গবেষণায় আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে। জৈবিক গঠনের কারণে পুরুষ ও মহিলাদের ঘুমের ধরনেও ভিন্নতা দেখা যায়। পুরুষদের গভীর ঘুম হওয়ার প্রবণতা বেশি। অন্যদিকে, মহিলাদের ঘুম তুলনামূলকভাবে পাতলা হয় এবং সহজে ভেঙে যায়। এই কারণে পর্যাপ্ত সময় পেলেও অনেক সময় তাঁদের ঘুম বিঘ্নিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যিক। তবে আধুনিক জীবনে পড়াশোনা ও কাজের চাপে ঘুমের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। তাঁরা সতর্ক করেছেন, এই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু ছুটির দিনে বেশি ঘুমানো যথেষ্ট নয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস তৈরি করা জরুরি। কারণ, শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সচল রাখতে একটি নির্দিষ্ট ‘স্লিপ সাইকেল’ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।