দুর্যোগে বিপর্যস্ত শহর, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত একাধিক! এই দুর্ভোগের নেপথ্যে কি সিইএসসি? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

রাতভর ভারী বৃষ্টিতে কার্যত লন্ডভন্ড তিলোত্তমা। শহরের নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে। কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিনজনের প্রাণ গিয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। খোলা বৈদ্যুতিক তার আর জলমগ্ন রাস্তার কারণে শহরজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি-র পরিকাঠামোকেই সরাসরি দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর সম্পূর্ণ দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের মাঠে নামাতে হবে। ওরা ব্যবসা করছে এখানে, অথচ আধুনিকীকরণের কাজ করছে রাজস্থানে। কলকাতায় কেন এই কাজ হচ্ছে না? বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গেল।’

শুধু দায় চাপানো নয়, মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও জানান সিইএসসি-র কাছে। তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে তাঁর কথায়, ‘জলটা বের করব কোথায়? চারিদিকে তো শুধু জল আর জল।’

একবালপুরের হোসেন শাহ রোড থেকে শুরু করে নেতাজিনগর, বেনিয়াপুকুর, বেহালা, হরিদেবপুর, গড়ফা—শহরের সর্বত্র একই চিত্র। বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। গড়িয়াহাটেও উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির দেহ। বহু এলাকায় এখনও খোলা তার পড়ে আছে, যা দেখে আতঙ্কিত শহরবাসী।

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে গোটা শহরই জলমগ্ন। বহু রাস্তা, যা আগে জল জমত না, সেগুলোও হাঁটু জলে ডুবে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গঙ্গায় আবারও জোয়ার এলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘নদীতে জল টইটম্বুর, খালগুলোও ভরে গেছে। আমরা পুরসভার ড্রেন থেকে জল বের করতে গেলেই তা আবার শহরে ফিরে আসছে। দুপুর দেড়টায় বড় বান আসবে। সেই বান নেমে গেলে তবেই জল নামানো সম্ভব। প্রথমে জল খালে যাবে, সেখান থেকে নদীতে এবং তারপর সমুদ্রে। এর বাইরে আর কোনো উপায় নেই।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *