প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধু ভারতেই নয়, বিশ্ব মঞ্চেও অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। তাঁর দৃঢ় ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য তিনি তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) এমন কোন মুখ আছে যিনি মোদীর বিশাল রাজনৈতিক উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন?

এই কৌতূহলকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি UPUK নামক একটি সংস্থা দেশ জুড়ে একটি জনমত সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং এটি দেশের জনগণের ভাবনাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।

সমীক্ষায় তিনটি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল:

১. উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

২. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

৩. কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ী

৮৪% মানুষ যোগী আদিত্যনাথকে বেছে নিলেন

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮৪ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তরসূরি হিসেবে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বেছে নিয়েছেন। উত্তর প্রদেশে তাঁর কঠোর প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পরিচিত যোগী আদিত্যনাথকে মানুষ একজন দৃঢ়চেতা নেতা এবং হিন্দুত্বের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছে। মোদীর মতো তাঁর স্পষ্ট, নির্ভীক ও আক্রমণাত্মক নেতৃত্বশৈলীর কারণে জনগণ তাঁকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

১২% মানুষের পছন্দ অমিত শাহ

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মোদীর পর সবচেয়ে উপযুক্ত মুখ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নে দক্ষ অমিত শাহকে মোদীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে ধরা হয়। তবে সমীক্ষায় তাঁর জনপ্রিয়তা যোগীর চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে।

নীতিন গড়কড়ীর ঝুলিতে মাত্র ৪% সমর্থন

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ীকে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সমর্থন করেছেন। গড়কড়ীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং চমৎকার কার্যপ্রণালী তাঁকে একজন যোগ্য প্রশাসক হিসেবে তুলে ধরলেও, জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি যোগী ও শাহের থেকে পিছিয়ে আছেন।

এই সমীক্ষা কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?

UPUK-এর এই সমীক্ষা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, যদি আজ নরেন্দ্র মোদীর উত্তরাধিকারী নির্বাচন করতে হয়, তবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথই জনগণের প্রথম পছন্দ। যদিও রাজনীতিতে পরিস্থিতি দ্রুত বদলায় এবং ২০২৯ সাল এখনও অনেক দূরে, তবে বর্তমান জনभावना বিজেপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশ করছে।