ধনীদের সাফল্যের গোপন রহস্য বাস্তুশাস্ত্র কী বলছে – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির উত্তর দিক অত্যন্ত শুভ এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিকটিকে সম্পদের দেবতা কুবেরের বাসস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণেই সফল এবং ধনী ব্যক্তিরা তাঁদের বাড়ির উত্তর দিককে বিশেষ গুরুত্ব দেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই দিকে কয়েকটি নির্দিষ্ট জিনিস রাখলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। ফলে বাড়িতে ধন-সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাস্তুর এই নিয়ম মেনে চললে কখনও অর্থের অভাব হয় না। আসুন, জেনে নিই কোন চারটি জিনিস উত্তর দিকে রাখলে সৌভাগ্য আসে।

১. কুবেরের মূর্তি

বাস্তুশাস্ত্রে, উত্তর দিককে সম্পদ এবং সুযোগের দিক হিসেবে ধরা হয়। এই দিকটি কুবেরের দ্বারা শাসিত। বাড়ির উত্তর দিকে তাঁর মূর্তি স্থাপন করলে সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। বিশ্বাস করা হয়, কুবেরের মূর্তি রাখলে ব্যবসায় সাফল্য আসে, হারানো অর্থ ফিরে পাওয়া যায় এবং আয়ের নতুন উৎস তৈরি হয়।

২. শ্রীযন্ত্র

বাস্তু এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে শ্রীযন্ত্রকে অত্যন্ত শক্তিশালী মনে করা হয়। বাড়ির উত্তর দিকে এটি রাখলে ইতিবাচক শক্তির আগমন ঘটে এবং নেতিবাচকতা দূর হয়। শ্রীযন্ত্র ঘরের পরিবেশকে পবিত্র করে, আর্থিক স্থিতিশীলতা আনে এবং উন্নতির পথ খুলে দেয়। যদি কোনো উপাসনাস্থলে এটি স্থাপন করা হয় এবং সঠিকভাবে পূজা করা হয়, তবে এর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।

৩. তুলসী গাছ

ভারতীয় ঐতিহ্যে তুলসীকে দেবীর এক রূপ হিসেবে ধরা হয়। তুলসী শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও ঘরের পরিবেশকে পবিত্র রাখে। বাড়ির উত্তর দিকে তুলসী গাছ রাখলে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। এটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা এবং সম্প্রীতিও বাড়ায়। বাস্তু অনুসারে, বাড়ির উত্তর দিকে তুলসী গাছ থাকলে দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটে।

৪. কচ্ছপ

কচ্ছপকে দীর্ঘায়ু, স্থিতিশীলতা এবং ধৈর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাস্তুশাস্ত্রে এটি একটি শুভ বস্তু হিসেবে পরিচিত। বাড়ির উত্তর দিকে কচ্ছপের মূর্তি স্থাপন করলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় থাকে। এটি আর্থিক পরিস্থিতিকে শক্তিশালী করে এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। বিশ্বাস করা হয় যে কচ্ছপ দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি ধরে রাখে, যার ফলে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *