মহাকাশে ভারতের নতুন ‘বডিগার্ড’ আতঙ্ক ছড়ালো চীন-পাকিস্তানের, কী হতে চলেছে? – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
ইসরায়েলের সুরক্ষার জন্য যেমন আমেরিকা রয়েছে, ভারত জানে তার সুরক্ষার জন্য অন্য কোনো দেশ এগিয়ে আসবে না। তাই শুধু স্থল বা আকাশ নয়, এবার ভারত নিজের নিরাপত্তার বলয়কে মহাকাশেও এমন শক্তিশালী করতে চলেছে, যা ভেদ করা চীন বা আমেরিকার মতো পরাশক্তিদের পক্ষেও আসাম্ভব হবে। ঠিক যেন এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মতোই, এবার ভারত মহাকাশে এক বিশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে। আপাতত মহাকাশে পাকিস্তানের কোনো অবস্থান না থাকলেও, তারা যদি চীনের সাহায্যে ভারতীয় উপগ্রহগুলিতে হামলা করার দুঃসাহস দেখায়, তাহলে মহাকাশে মোতায়েন ভারতের ‘স্যাটেলাইট বডিগার্ড’ তাদের যোগ্য জবাব দিতে এক মুহূর্তও দেরি করবে না।
ভারতের এই বিশেষ ‘স্যাটেলাইট বডিগার্ড’ কোনো বিদেশি রাষ্ট্র যেমন রাশিয়া, ফ্রান্স বা ইসরায়েল থেকে কেনা হচ্ছে না। এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করছে ইসরো। অর্থাৎ, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ‘স্যাটেলাইট বডিগার্ড’ ভারতীয় উপগ্রহগুলোকে শত্রুদের হামলা থেকে সুরক্ষা দেবে। এর মূল কাজই হবে ভারতীয় উপগ্রহগুলোকে শত্রুপক্ষের কুটিল পরিকল্পনা এবং আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।
ব্লুমবার্গের এক সূত্র থেকে জানা গেছে, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কারণ ২০২৪ সালে একটি শত্রুপক্ষের উপগ্রহ ইসরোর একটি স্যাটেলাইটের খুব কাছে চলে এসেছিল। দুটি উপগ্রহের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র এক কিলোমিটার। এটি এমন এক পরিস্থিতিতে ঘটেছিল যখন মহাকাশে ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকা একটি উপগ্রহ ম্যাপিং এবং গ্রাউন্ড মনিটরিং-এর মতো সামরিক কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। তবে, বড় কোনো সমস্যা হওয়ার আগেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই ‘স্যাটেলাইট বডিগার্ড’ তৈরির আরও একটি বড় কারণ হল, চীনের কাছে বর্তমানে ৯০০-এর বেশি উপগ্রহ রয়েছে, যেখানে ভারতের আছে মাত্র ১০০টি এবং পাকিস্তানের আছে আটটি।
আপনাকে হয়তো মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, ২০২৩ সালের মে মাসে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তখন চীন পাকিস্তানকে উপগ্রহের মাধ্যমে কভারেজে সহায়তা করেছিল। সেই কারণে, মহাকাশে চীনের উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সূত্র অনুযায়ী, ভারত সরকার এই প্রকল্পে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইসরো ৫০টি উপগ্রহের একটি সম্পূর্ণ বাহিনী তৈরি করবে। প্রথম উপগ্রহটি আগামী বছরই উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। এই কর্মসূচির অধীনে ‘লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং’ (এলআইডিআর) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে, যা মহাকাশে উপস্থিত বিপদগুলো সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।