খুনের নেশায় উন্মত্ত ভল্লুক! গুলির আওয়াজও থামাতে পারল না তাকে, ছিঁড়ে খেল মহিলার দেহ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

রুশ জঙ্গলে বিভীষিকা! প্রায় ৬৩ বছর বয়সী এক মহিলাকে টেনে নিয়ে গেল একটি বিশাল ভল্লুক। শুধু তাই নয়, মহিলাকে নখ দিয়ে আঁচড়ে, কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে খেল সে। এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার সাখালিন দ্বীপে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিউমিলা কোমারোভা নামের ওই মহিলা তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে জঙ্গলে ফল কুড়োতে গিয়েছিলেন। সেখানেই একটি হিংস্র স্ত্রী ভল্লুকের মুখোমুখি হন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভল্লুকটি তাঁকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর নৃশংসভাবে তাঁকে আক্রমণ করে হত্যা করে। বন্ধুর চোখের সামনেই ঘটে এই ভয়ানক ঘটনা। বন্ধুটি সাহায্য চাওয়ার জন্য ছুটে যান, কিন্তু যখন উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন সেখানে কেবল মহিলার জুতো, ব্যাকপ্যাক ও একটি ভাঙা বালতি পড়েছিল।

উদ্ধারকারী দল যা দেখল

উদ্ধারকারী দল যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন ভল্লুকের হিংস্রতা দেখে বন দফতরের আধিকারিকরাও শিউরে ওঠেন। মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়েছিল জঙ্গলের এক কোণে। রক্তমাখা বালতি, জুতো এবং অন্যান্য জিনিস চারিদিকে ছড়িয়ে ছিল। প্রথমে তাঁরা একটি ছোট শাবককে দেখেন, যা মৃতদেহ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে বসেছিল। তার পরই তাঁদের চোখে পড়ে বিশাল আকৃতির স্ত্রী ভল্লুকটিকে, যা মৃতদেহের দিকে এগিয়ে আসছে।

পুলিশ ও রেঞ্জাররা ভল্লুকটিকে ভয় দেখাতে গুলি চালায়। গুলির শব্দ শুনে ভল্লুকটি পিছিয়ে গেলেও, সে বারবার মৃতদেহের কাছে ফিরে আসার চেষ্টা করে। অন্তত পাঁচবার ভল্লুকটি দলের দিকে ফিরে তাকায়। রেঞ্জাররা জানিয়েছে, সে যেন তাদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিল।

কেন এমন আচরণ?

সাধারণত, যখন কোনো স্ত্রী ভল্লুকের সঙ্গে তার শাবক থাকে, তখন তারা অত্যন্ত হিংস্র হয়ে ওঠে। তারা নিজেদের সন্তানকে বাঁচাতে যে কোনো কিছু করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মহিলাকে শাবকের জন্য বিপদ ভেবেই ভল্লুকটি আক্রমণ করেছিল। উদ্ধারকারী দল যখন আসে, তখনও শাবকটি কাছেই ছিল, তাই সে মৃতদেহ ছেড়ে যেতে চাইছিল না।

মৃত্যু হলো সেই ভল্লুকের

এই ভয়ানক ঘটনার পর বন দফতরের আধিকারিকরা ভল্লুকটিকে খুঁজছিলেন। পরিস্থিতি এতই বিপজ্জনক ছিল যে রাতে তাঁরা নিজেদের অভিযান স্থগিত রাখেন। তবে পরের দিন সকালে রেঞ্জাররা ভল্লুকটিকে খুঁজে বের করে গুলি করে মেরে ফেলেন। এই সংঘর্ষে ভল্লুকের শাবকটিও আহত হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *